পণ্যের বহুমুখিকরণ ও আঞ্চলিক পণ্যের উন্নয়নে কাজ করা হচ্ছে : এসএমই ফাউন্ডেশন
জাফর আহমদ: এসএমই পণ্য বহুমুখিকরণ, আঞ্চলিক পণ্যের পৃষ্ঠপোষকতা ও সারাদেশে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরিতে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এসএমই ফাউন্ডেশন। এ জন্য দেশব্যাপী বিভিন্ন রকম কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম এ কথা বলেন। আগামী ১৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় এসএমই মেলা-২০১৭’ অনুষ্ঠিত হবে। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক শাহীন আনোয়ার প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবার এসএমই মেলায় ২০০টি উদ্যোক্তা স্টলসহ মোট ২১৬টি স্টল থাকবে। এসব স্টলে উদ্যোক্তারা নিজস্ব উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শন করবে। যাতে উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতে পারে। যেসব উদ্যোক্তা মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করার পরও বাজারজাতকরণের সুবিধা না থাকার কারণে মুনাফার মুখ দেখতে পায় না। মধ্যস্বত্বভোগীরা মুনাফা পকেটে পুরে। জাতীয় ও বিভাগীয় শহরে মেলার মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করছে এসএমই ফাউন্ডেশন। সে ধারাবাহিকতায় এবার মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৫ মার্চ শুরু হয়ে এ মেলা চলবে ১৯ মার্চ পর্যন্ত। ১৫ মার্চ শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু প্রধান অতিথি এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করবেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, এবারে মেলায় দেশে উৎপাদিত পাটজাত পণ্য, খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, চামড়াজাত সামগ্রী, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য, আইটি পণ্য, প্লাস্টিক ও অন্যান্য সিনথেটিক পণ্য, হস্তশিল্প, ডিজাইন ও ফ্যাশনওয়্যারসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রয় হবে।
মেলার মাধ্যমে উদ্যোক্তার হার বৃদ্ধির পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলের উদ্যোক্তারা বিভাগীয় মেলাতে এবং বিভাগী পর্যায়ের সক্ষম হয়ে ওঠা উদ্যোক্তারা জাতীয় মেলাতে অংশগ্রহণ করছে। পাশাপাশি আঞ্চলিকভাবে উৎপাদিত পণ্য ও অঞ্চলকে চিহ্নিত করা করা হচ্ছে। এসব অঞ্চলের উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন প্রকার সহায়তা দিয়ে সক্ষম করে গড়ে তোলা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয়ভাবে মেলা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অবদান বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী এ হার আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও জানান সফিকুল ইসলাম। সম্পাদনা: এনামুল হক