হালুয়াঘাট মহাসড়কের বেহাল দশা
প্রান্তোষ চন্দ্র দে (হালুয়াঘাট) ময়মনসিংহ: হালুয়াঘাট থেকে ঢাকা যাওয়ার একটি মাত্রই রাস্তা। এখান থেকে ময়মনসিংহের দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার। একসময় বাসে চড়ে ময়মনসিংহ যেতে যেখানে সময় লাগত ৪০-৫০ মিনিটএ সেখানে বর্তমানে সময় লাগে ১৬০ মিনিট থেকে ২০০ মিনিট। হালুয়াঘাট থেকে ফুলপুর যাওয়ার পথে মাত্র ১৫ কিলোমিটার রাস্তার করুন পরিস্থিতি এই এলাকার লাখো মানুষকে দুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে। এই মহাসড়কের অল্প এই রাস্তাটুকু দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ী চলাচল করে। অতিক্রম করে ধোবাঊড়া, নালিতাবাড়ি, হালুয়াঘাটের কয়েক লাখ মানুষ। কিন্ত রাস্তাটি খানাখন্দ আর বিভিন্ন স্থানে ছোট বড় গর্তে পরিণত হওয়ায় এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ এলাকার কয়েক লক্ষাধিক মানুষের। একইসঙ্গেচড়ম দুর্ভোগ পোহাতে হয় উন্নত চিকিৎসা নিতে যাওয়া মুমূর্ষু রোগীদেরকেও। দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। রাস্তাটি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের জন্যে এই এলাকার লাখো মানুষের এখন প্রাণের দাবীতে পরিনত হয়েছে।
হালুয়াঘাট থেকে ময়মনসিংহ হয়ে ঢাকা যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম এই সড়কটি। হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ঘোষগাও, কলসিন্দুরের মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হয় এ সড়ক দিয়ে । সড়কটির কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় গর্ত। যে কারণে প্রতিদিন ঘটছে দূর্ঘটনা।
অপরদিকে গুরুত্বের দিক থেকেও বিবেচনা করলে হালুয়াঘাট-ঢাকা মহাসড়কের সর্বাধিক গুরুত্ব বহন করে। এখানে রয়েছে দুটি ¯’লবন্দর। প্রতিদিন কয়লাবাহী শত শত ট্রাক অতিক্রম করে এই মহাসড়ক দিয়ে। দুটি স্থলবন্দর থেকে প্রতি বৎসর সরকারী রাজস্ব আদায় হচ্ছে প্রায় শতকোটি টাকা। অথচ প্রায় সময়েই যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক বিকল হয়ে পড়ছে এবং ঘটছে দুর্ঘটনা এছাড়াও বৃষ্টি হলে সড়কের ছোট-বড় গর্তগুলো পানিতে ভরে যায়, ফলে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এলাকাবাসী দুর্ঘটনার জন্য সড়কের বেহাল দশাকেই দায়ী করছেন। জনগুত্ব¡পূর্ণ এই সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা একান্ত প্রয়োজনবলে মনে করেন সকলেই। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এই রাস্তাটি সংস্কারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্যে এলাকাবাসী জোর দাবি জানিয়েছেন। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান