কোটালীপাড়ায় টানা বর্ষণে তরমুজের ব্যাপক ক্ষতি
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় টানা তিনদিনের ভারী বৃষ্টিতে তরমুজ গাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তিনদিনির ভারী বৃষ্টির কারণে কোটালীপাড়ার হিজলবাড়ী, মাছপাড়া, বুরুয়া, তেঁতুল বাড়ী, কুমুরিয়া, চকপুকুরিয়া, তিলবাড়ী, ডোমারাশুর, রুথিয়ারপাড়, গোলাবাড়ী এলাকার কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে তরমুজ গাছে পানি জমাট বেঁধে তরমুজ গাছ ঢলে যাচ্ছে। পানি নিষ্কাশনের জন্য জমি থেকে সেচ পাম্প দিয়ে পানি সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত জমিগুলো পরিদর্শনকালে গোপালগঞ্জ জেলার জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার হরলাল মধু বলেন, গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলায় প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ করা হয়েছে। কয়েক দিন যাবতএখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার কারণে তরমুজ গাছের গোড়ায় পানি দাঁড়িয়েছে এইটা দেখার জন্য এবং কৃষকের পরামর্শ দেয়ার জন্য আমরা কৃষি বিভাগের লোকজন মাঠে নেমেছি। চেষ্টা করবো কৃষকের ক্ষতিটা কম হওয়ার জন্য। হিজলবাড়ী গ্রামের সফল তরমুজ চাষী শরৎ চন্দ্র বর্নিক বলেন, আমাদের এখানে তরমুজ চাষের উপর নির্ভর করে চাষীদের সব অর্থনৈতিক অবস্থা। টানা তিন দিনের বৃষ্টির কারণে এলাকার সব তরমুজের গাছ পানিতে তলিয়ে গেছে। কলাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাইকেল ওঝা বলেন, আমাদের কোটালীপাড়া উপজেলায় প্রায় এক হাজার একরের ও বেশি জমিতে তরমুজের চাষ করা হয় তাই প্রতি বছর এই সময়টায় বৃষ্টি হয়ে তরমুজ গাছের খুব ক্ষতি করে। সরকারিভাবে পাইপ ড্রেনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হলে এ ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার রথীন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, কোটালীপাড়ায় টানা তিনদিনের ভারি বর্ষণের ফলে এখানকার কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে তরমুজ চাষিদের ক্ষতিটাই বেশি হয়েছে আমরা চেষ্টায় আছি কৃষকের মাঝে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যেন তরমুজের গাছ গুলোর ক্ষতিটা কম হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সহ-কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ব্রজেন্দ্র নাথ সরকার, উপকৃষি সহকারী অফিসার রমেন্দ্রনাথ হালদার ও উপকৃষি সহকারি অফিসার পার্থ প্রতিম বৈদ্য। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান