ধর্মের অপব্যাখ্যায় কৃষির ঝুঁকি তৈরি হয়েছে
ডেস্ক প্রতিবেদক : কৃষি সম্প্রাারণ অধিদপ্তরের পরিচালক (সরেজমিন উইং) কৃষিবিদ চৈতন্য কুমার দাস বলেছেন, বিসিএস ক্যাডারে ৫০ ভাগ মেয়ে। এটি আশার কথা। কিন্তু ধর্মীয় অপব্যাখ্যায় আক্রান্ত অনেক নারী কৃষি কর্মকর্তা কৃষকদের সঙ্গে আই কন্টাক্টে আসতে পারেন না। আই কন্টাক্ট ছাড়া কৃষকরা কোনো কর্মকর্তার কথাকে বিশ্বাস করে না এবং গুরুত্ব দেয় না। ধর্মের অপব্যাখ্যায় তৈরি হয়েছে কৃষির এই ঝুঁকি। এ কারণে পিছিয়ে পড়ছে নারী কৃষক ও কৃষিক্ষেত্রের অগ্রগতি। রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করা ছাড়া কৃষির এ ঝুঁকি কাটবে না। দ্যা রিপোর্ট২৪ ডটকম
রাজধানীর তোপখানা রোডের সিরডাপ মিলনায়তনের চামেলী হাউজে গতকাল বুধবার ‘নারীর ভূমি অধিকার, কৃষিতে অংশগ্রহণ ও বঞ্চনা : সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে সম্মানীত অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০১৭ উপলক্ষে অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) নামের একটি বেসরকারি সংগঠন এ সেমিনারের আয়োজন করে।
কৃষিবিদ চৈতন্য কুমার দাস বলেন, প্রতিটি মানুষের ঋণ পাওয়া ও তথ্য জানার অধিকার রয়েছে। ঋণ পাওয়ার বিষয়টি পরিষ্কার ও তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত না হলে কৃষিতে কাঙ্খিত অগ্রগতি হবে না।
তিনি আরো বলেছেন, এমন একদিন আসবে যেদিন এ দেশে ভাত-তরকারী কুটে রান্না করার ব্যব¯’া থাকবে না। প্রসেস ফুড চেয়ার টেবিলে আসবে। এই খাতে অনেক নারী লাগবে। কৃষির জননী নারী। কৃষি এসেছে নারীর হাত ধরে। উন্নত ধানের দেশীয় জাত আবিষ্কার করেছেন এ দেশেরই একজন বরেণ্য নারী।
সেমিনারে প্যানেল আলোচকের বক্তব্য দেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. সীমা জামান, অধ্যাপক ড. রওশন আরা ফিরোজ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আইনুন নাহার।