আইসিটি খাতে ২০১৮ সালে ৩০ হাজার নারী উদ্যোক্তা তৈরি হবে : পলক
সাইদ রিপন: তথ্য ও যোগাযোগ খাতে ২০১৮ সালে ৩০ হাজার নারী উদ্যোক্তা তৈরি করা হবে। যারা দেশের অর্থনীতি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এতে আমাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গতকাল বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অডিটোরিয়ামে নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ওয়াইফাইয়ে প্রি-লাঞ্চিং অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জুলিয়া নিবলেট, শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ইয়াসোজা গুনাসেকারা, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব সুবির কিশোর চৌধুরী, এশিয়া ফাউন্ডেশনের ডেপুটি কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সারা টেইলর ও ইউএনডিপি-এর জেন্ডার অ্যান্ড পার্টনারশিপ স্পেশালিস্ট মেলিসা বালজান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জুনাইদ আহমেদ বলেন, সারা পৃথিবীতে আইসিটি খাতে নারীর অংশগ্রহণ হার মাত্র ১৫ শতাংশ। তবে বাংলাদেশে এ হার ৯ শতাংশ। দেশের অর্থনীতি এবং টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অর্জনে নারীদের আইসিটি খাতে আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়ন ও জীবনের সবক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন। আমি অত্যন্ত আশাবাদী যে, ওয়াইফাই উদ্যোগের মাধ্যমে আগামী ২০১৮ সালের মধ্যে আরও ৩০ হাজারেরও বেশি নারী উদ্যোক্তা গড়ে তুলতে পারব। তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই উদ্যোগ নারী উদ্যোক্তাদের জীবন, পরিবার এবং সমাজ পরিবর্তনে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, নারীর অংশ বাড়াতে আইসিটি খাতে নতুন উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে নারী-পুরুষের ফিফটি-ফিফটি সুযোগ তৈরি করছে সরকার।
পলক বলেন, বাংলাদেশের নারীরাও অনেক মেধাবী। তাদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে আইসিটিতে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। অস্ট্রেলিয়া সরকার ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য আটটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জুলিয়া নিবলেট বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা পৃথিবীতেই আইসিটিতে নারী অংশগ্রহণ কম। তবে এদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়নের জন্য পাঠ্যসূচিতে বেসিক কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়টি আবশ্যিক রাখতে হবে। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু