প্রবাসে সন্তানরা যেন জঙ্গি-সন্ত্রাসে না জড়ায় : অভিভাবকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী: জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসের সঙ্গে যেন না জড়ায় সেদিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়ার জন্য শিক্ষক, অভিভাবকসহ সমাজের সকল মানুষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে যদি আপনারা সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারেন, তাহলে আমরা নিশ্চয়ই দেশকে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদমুক্ত রাখতে সক্ষম হবো। আমাদের সরকারও এ ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। গতকাল ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন সংস্থার বিজ্ঞানী ও গবেষকদের এবং মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ ও বিশেষ অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে আমরা বিজয়ী জাতি, এটা সব সময় আমাদের মনে রাখতে হবে। কাজেই আমরা কোনো সময় পিছিয়ে যেতে পারি না। আমরা কারো অনুগ্রহ, অনুকম্পা নিয়ে নয়, মাথা উঁচু করে বিশ্বসভায় চলবো। শেখ হাসিনা তার রূপকল্প-২০২১ অনুযায়ী ২০২১ সাল নাগাদ মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সাল নাগাদ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করারও আহবান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে তার সরকার শিক্ষা, গবেষণা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ যদি আমরা গড়তে চাই তাহলে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো, গবেষণা বাড়ানো এবং বিজ্ঞানের চর্চা বৃদ্ধি করা।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা বায়ো-টেকনোলজিক্যাল সায়েন্স, মেডিকেল সায়েন্স, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপলায়েড সায়েন্স এবং খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনে গুরুত্ব প্রদান করেছি। যে কারণে আমরা আজ খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত দেশ, মৎস উৎপাদনে (মিঠা পানির মাছ) উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছি। সবজি উৎপাদনে তৃতীয় এবং মাংসসহ অন্যান্য উৎপাদনেও আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। পরিকল্পিতভাবে সীমিত সম্পদ যদি আমরা ব্যবহার করতে পারি এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে এটার ব্যবহার যদি নিশ্চিত করতে পারি তাহলে আমাদের কারো মুখাপেক্ষী হয়ে চলতে হবে না- তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, একটি লক্ষ্য স্থির না থাকলে দেশ উন্নত হতে পারে না। ২০০১ সালে যখন আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করবো, ওই সময়ের মধ্যে আমরা দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। ২০১৪ সালে যে নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছিলাম সেখানে আমরা ঘোষণা করেছিলাম- ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ। সম্পাদনা: রাশিদ