ব্যবসায়ীদের দ্বন্দ্বে বেনাপোলে পাটবীজ আমদানি বন্ধ
ডেস্ক রিপোর্ট : ভারতীয় ব্যবসায়ীদের দ্বন্দ্বে বেনাপোলে পাটবীজ আমদানি বন্ধ আমদানি বন্ধ রয়েছে পাটবীজ আমদানি। এতে আমদানি-রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। একই সঙ্গে পাটবীজ ছাড় না হলে বাংলাদেশের কৃষকরাও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। বনিক বার্তা অনলাইন
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় ওপারে ভারতের বনগাঁ কালীতলা পার্কিংয়ে শতাধিক পাটবীজ বোঝাই ট্রাক আটকা পড়ে রয়েছে। বেনাপোল উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী হাসানুজামান জানান, বাংলাদেশের কৃষকদের ৯০ শতাংশ চাহিদা মেটানো হয় ভারত থেকে আমদানি করা পাটবীজ দিয়ে। চলতি মাসে শুরু হয় পাট ও মেসতাবীজ আমদানি। গেল ৪ মার্চ ১৩০ টন মেসতাবীজ ও ৮ মার্চ ৭৫ টন পাটবীজ বোঝাই ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। ভারতের এনএসি (নবীন) কোম্পানির উত্পাদিত পাটবীজ রফতানি করে গোল্ড ইন্টারন্যাশন্যাল বনগাঁ। বাংলাদেশে এ পণ্যের আমদানিকারক যশোরের আলো আলী ট্রেডার্স ও শার্শার বাগআঁচড়ার আব্দুল খালেক। আব্দুল খালেক জানান, বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ রয়েছে পাটবীজ আমদানি। বনগাঁ কালীতলা পার্কিংয়ে শতাধিক পাটবীজ বোঝাই ট্রাক আটকা পড়ে আছে। পার্কিংয়ে সিরিয়ালসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ব্যবসায়ীদের দ্বন্দ্বের কারণে পাটবীজ আমদানি বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি। উদ্ভূত সমস্যার সমাধানের জন্য ওপারের ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, অতিসত্বর এ অচলাবস্থার সুরাহা চান তারা।
ভারতীয় রফতানিকারকের প্রতিনিধি নিরঞ্জন চক্রবর্তী জানান, দু-একদিনের মধ্যে পাটবীজ খালাস করা সম্ভব না হলে আমদানি-রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কৃষকরাও সঠিক সময়ে পাটবীজ পাবেন না। উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কৃষি রোগতত্ত্ববিদ আনিসুজ্জামান খান জানান, পাটবীজ আমদানি বন্ধে বীজের গুণগত মান নষ্ট না হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন চাষীরা। ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান মনিরুজামান জানান, ভারতীয় পাটবীজে ৮৫ শতাংশ অঙ্কুরোদ্গমন হয়। এ কারণে চলতি মৌসুমে চাষীরা ভারতীয় বীজ বেশি ব্যবহার করেন।