বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, ধর্মান্ধতা নয়
এম শিমুল খান, গোপালগঞ্জ: ধর্মীয় শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে কিন্তু ধর্মান্ধতাকে নয় বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শুক্রবার বিকালে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জাতির পিতার সমাধি সৌধ কমপ্লেক্সের পাবলিক প্লাজায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজিত শিশু সমাবেশে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, ছেলে-মেয়েরা যাতে বিপথে না যায় সে জন্য বিভিন্ন খেলাধুুলার আয়োজন করা হচ্ছে। খেলাধুুলার উন্নয়নে নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন পদক্ষেপ। তারা পড়াশোনা শিখে স্বাক্ষরতার দেয়াল টপকাবে এই আশা আমাদের। তিনি আরো বলেন, সব শিশুই স্কুলে যাবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্যন্ত তাদের শিক্ষার যাবতীয় ভার সরকার নিয়েছে। তাদের বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা শিক্ষার্থীদের মায়ের মোবাইল অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। এখন সব শিশুরাই স্কুলে পড়ে, টোকাই কিংবা পথশিশু বলে বাংলাদেশে কিছু থাকবে না। সবাই স্কুলে যাবে, মানুষের মতো মানুষ হয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।
এর আগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সকাল সোয়া ১০টার পর প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল তাদেরকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসাবে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, নৌ মন্ত্রী শাজাহান খান এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান