জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব
জায়েদুল আহসান পিন্টু
জঙ্গিরা শক্তিশালী হয়ে উঠছে না। জঙ্গিবিরোধী অভিযান অনেক বেশি জোরদার হওয়াতে এখন তারা ধরা পড়ছে। আগে হয়তো এত জোরদার অভিযান ছিল না বলে তারা ধরা পড়ত না। নারী জঙ্গির বিষয়টি নতুন ঘটনা নয়। এসব আমরা দশ-বারো বছর আগে, পুরনো জেএমবির আমলেও নারী জঙ্গি দেখেছি। এখন নারী জঙ্গিদের মধ্যে আত্মঘাতী প্রবণতা বেড়েছে।
গত ৭ মাসে ৩৮ জন জঙ্গি মারা গেছে। পুলিশ ও গোয়েন্দা তৎপরতা বেড়েছে। একসময় পুলিশ বা গোয়েন্দারা অতটা সিরিয়াস ছিল না বলেই তখন এরা ধরা পড়ত না বা জঙ্গিদের শনাক্ত করা যেত না। এখন পুলিশের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় কোথাও তারা অবস্থান তৈরি করতে পারছে না। হিন্দু এলাকায় ঘাঁটি আপাতত মনে হচ্ছে নতুন, কিন্তু এটা এখনো বলা যাবে না যে, হিন্দু বলেই তারা ওই জায়গায় ঘাঁটি বেঁধেছে। এমনও হতে পারে হাইওয়েকে টার্গেট করে এটা তারা করেছে। হাইওয়ে ব্লক করে দিয়ে তারা তাদের কার্যসিদ্ধির প্রয়াস চালানোর পরিকল্পনাও করে থাকতে পারে। চট্টগ্রামে পোর্ট আছে, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে, সেসবও টার্গেট করতে পারে। আশকোনায় যেটা হয়েছে সেটা হয়তো মসজিদকে টার্গেট করার পরিকল্পনা হতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে জঙ্গি কখনোই নির্মূল হবে না, তবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সারাবিশ্বে যদি জঙ্গিবাদ থাকে এদেশেও থাকবে। তবে এগুলো নিয়ন্ত্রণ এবং একদম সমাজ থেকে উপড়ে ফেলা সম্ভব তখনই যখন রাষ্ট্র বা সমাজব্যবস্থায় ধর্মীয় মৌলবাদ থাকবে না। রাজনৈতিক দর্শন যদি রাষ্ট্রের মধ্যে থাকে, গণতান্ত্রিক শক্তি এবং ধর্ম নিরপেক্ষ শক্তি যদি ঐক্যবদ্ধভাবে কোনো ভূমিকা রাখতে পারে তবেই এ দেশে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
পরিচিতি: কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
মতামত গ্রহণ: সাগর গনি/সম্পাদনা: আশিক রহমান