দেশের উন্নয়নে ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ : মোস্তাফিজুর রহমান
সাইদ রিপন : দেশের উন্নয়নে ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী দুটি গুরুত্বপূর্ণ। একটি ছাড়া অন্যটি বাস্তবায়ন করে কোন লাভ নেই। এতে ক্ষুদ্রঋণে দারিদ্র দূর হবে না ও সামাজিক নিরাপত্তাও রক্ষা করা যাবে না বলে জানিয়েছেন সিপিডির সম্মানিত ফেলো অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান।
গতকাল শনিবার ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে দেশ থেকে দারিদ্র দূর করতে হবে। তবে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ক্ষুদ্রঋণও সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী আরো বাড়ানো দরকার।
তিনি বলেন, ক্ষুদ্রঋণের ক্ষেত্রে আরো সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীদের এ দুটি কর্মসূচীর আওতায় আনতে হবে। তাহলে আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এসডিজি অর্জন করতে পারবো।
সভাপতির বক্ত্যবে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, দারিদ্র একটি অভিশাপ। এর থেকে মুক্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশে ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা নিয়ে জিও-এনজিওগুলো দীর্ঘদিন ধরে কাজ করলেও এর সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়ে ভিন্নমূখী বক্তব্য পাওয়া যায়। আবার অনেক দরিদ্র মানুষ ক্ষুদ্রঋণের উপকারভোগী হিসেবে ঘুরে দাড়ানোর চিত্রও রয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী নিয়ে কাজ করছে। এরমধ্যে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, দুস্থ মহিলা ভাতা, কর্মজিবী ল্যাকটেকটিং মাদার কর্মসূচী, প্রতিবন্ধীভাতা, টিআর, কাবিখা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচীর উপকারভোগী নির্ধারণে অস্বচ্ছতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনে এর বাস্তবায়নে বাধার সম্মুখিন হতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেখা যায় দরিদ্র মানুষের পরিবর্তে অবস্থাসমম্পন্ন লোকেরা সুবিধা ভোগীর তালিকায় স্থান পাচ্ছেন। এ খাতগুলো থেকে দুর্নীতি রোধ করতে জবাবদিহিতার জায়গা থাকতে হবে। সেই সাথে খাতগুলোর কার্যকর পরিবীক্ষন ও মুল্যায়ন হলে সার্বিক প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এর সুফল ভোগ করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রতিযোগিতায় সরকারী দল হিসেবে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ও বিরোধী দল হিসেবে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ ও সাংবাদিক দৌলত আক্তার মালা প্রমুখ। সম্পাদনা : মাসুদ মিয়া