আতঙ্কের নাম ঢাকা-গোপালগঞ্জ-খুলনা মহাসড়ক
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : ঢাকা-গোপালগঞ্জ-খুলনা মহাসড়কের কাশিয়ানী উপজেলার অংশ যেন এখন একটি আতঙ্কের নাম। এ পথে চলাচল করা এখন বিপদজ্জনক হয়ে উঠেছে। এ মহাসড়কে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা। দুর্ঘটনা যেন এ সড়কটিতে নিত্য দিনের দু.সংবাদ। ফলে ঢাকা গোপালগঞ্জ-খুলনা মহাসড়ক এখন আতঙ্কের সড়ক নামে পরিচিতি লাভ করেছে। মহাসড়কে মর্মান্তিক প্রাণহানির ঘটনা দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। ফলে ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।
জানা গেছে, গত জানুয়ারি মাসের ১১ তারিখ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত কাশিয়ানী উপজেলায় সড়ক দূর্ঘটনায় ৭ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে প্রায় ৪১ জন। এরমধ্যে গত ১১ জানুয়ারি কাশিয়ানী উপজেলার কালনাঘাট-ভাটিয়াপাড়া সড়কের বুধপাশা এলাকায় বালুবাহী ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংর্ঘষে মোরাদ হোসেন (৩৫) নামে এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়। এ সময় মোটরসাইকেলে থাকা আরোহী জানু বেগম (৩০) নামে এক নারী আহত হয়। ১৭ জানুয়ারি কাশিয়ানী উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাজড়া এলাকায় বাসের ধাক্কায় জোবেদা বেগম (৭০) নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়।২৬ জানুয়ারী কাশিয়ানী উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের চাপ্তা এলাকায় বাসের ধাক্কায় আব্দুল খালেক কাজী (৭০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়, ২৮ জানুয়ারি কাশিয়ানী উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাজড়া ইটভাটা এলাকায় কাভার্ড ভ্যান-প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষে ফরিদ শেখ (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়। এ সময় প্রাইভেটকারে থাকা অপর ৩ যাত্রী আহত হয়। সর্বশেষ ৩০ জানুয়ারি কাশিয়ানী উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের তিলছড়া এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারীসহ তিনজন নিহত হয়। এ সময় বাসে থাকা অনন্ত ৩৫ জন যাত্রী আহত হয়। এ সব দুর্ঘটনার পেছনে রয়েছে নানা কারণ। যেমন চালকের অদক্ষতা ও বেপরোয়া গাড়ি চালনা, প্রতিযোগিতা, বিপজ্জনক ভাবে ওভার টেকিং, সড়কে বিভাজক না থাকা, ট্রাফিক আইন না মানা, যাত্রীদের অসচেতনতা, রাস্তায় ডিভাইডার না থাকা, পুরনো ও ত্রুটিযুক্ত যানবাহন চলাচল, অদক্ষ চালককে লাইসেন্স প্রদান ইত্যাদি।
এছাড়াও কাওড়াকান্দি থেকে ফেরিঘাট কাঁঠালবাড়িতে স্তানান্তরিত করায় প্রায় ১০ কিলোমিটার নৌ-পথ কমে গেছে। যার কারণে দক্ষিণাঞ্চলের অধিকাংশ যানবাহন এ মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করছে। ফলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গাড়ির চাপ তিন গুণ বেড়ে গেছে। ফলে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দুর্ঘটনা এখন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে অথচ এ নিয়ে কোনো দায়বদ্ধতা নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের । সম্পাদনা : মুরাদ হাসান