মুরাদনগরের বেইলি ব্রিজগুলো এখন মরণফাঁদ
এম কে আই জাবেদ, মুরাদনগর (কুমিল্লা) : মুরাদনগর উপজেলার সংস্কার না হওয়ায় প্রতিটি বেইলি ব্রিজ যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এগুলো এখন বেহাল অবস্থায় যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলায় সড়ক ও জনপদ বিভাগের অধিন প্রধান গুরুত্বপূর্ন ৫টি আঞ্চলিক সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে ২৯টি ব্রিজের অবস্থা একেবারেই নাজুক হয়ে পড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ এসব সড়কগুলোর মধ্যে মুরাদনগর-ঢাকা সড়ক, মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর সড়ক, কোম্পানীগঞ্জ-নবীনগর সড়ক, নবীপুর-শ্রীকাইল সড়কের মোচাগড়া উত্তর পাড়া, যাত্রাপুর দক্ষিণ ও উত্তর পাড়ায়। মুরাদনগর-কোম্পানীগঞ্জ-হোমনা সড়ক এবং নবীপুর-শ্রীকাইল সড়কের বেইলি ব্রিজ গুলো একেবারেই জরাজীর্ণ হয়ে মরণফাঁদে পরিণত হয়ে আছে। জরাজীর্ণ এসব সেতুর লোহার পাটাতন (সিøপার) ভেঙে যাত্রী ও পণ্যবাহী বাস-ট্রাক আটকে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এসব দিয়ে দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অধিকাংশ সময় বিকল হচ্ছে ছোট-বড় অনেক যানবাহন। এছাড়া প্রায় অর্ধশত বছর আগে মুরাদনগর-ঢাকা সড়কের থানা সংলগ্ন গোমতীর উপর নির্মিত বেইলি ব্রিজটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ব্রিজটির গুড়া ও পিলারের নিচথেকে মাটি সরেগিয়ে বড় ফাটলের তৈরি হয়েছে। ৯ বছর ধরে এটি একই অব¯’ায় আছে। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী ট্রাক চলাচল করছে। মুরাদনগর-ইলিয়টগঞ্জ-ঢাকা সড়কে ছয়টি বেইলি সেতু রয়েছে। প্রতিটি সেতুর পাটাতন (সিøপার) ভেঙে গেছে। সম্প্রতি পাটাতন ভেঙে বিটুমিন বোঝাই একটি লরি আটকে যায়। এতে ব্যস্ততম এ সড়কে চারঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। একইভাবে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ছালিয়াকান্দি বাজারসংলগ্ন এলাকার বেইলি সেতুটি চালবোঝাই ট্রাকসহ ভেঙে পড়ে। এতে মুরাদনগর-ইলিয়টগঞ্জ-ঢাকার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ তিন-চার দিন বিচ্ছিন্ন ছিল। পরে সেতুটি মেরামত করা হলেও ঝুঁকি থেকে যায়। মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর সড়কের করিমপুর এলাকার ব্রিজটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় চুরি হয়ে যাচ্ছে লোহার বিভিন্ন সরঞ্জাম। এ ছাড়া নবীনগর রোডে ছয়টি, রামচন্দ্রপুরে দুটি, বাঙ্গরা-সংচাইল রোডে ছয়টি, মেটাঙ্গর-শ্রীকাইল রোডে চারটি, সংচাইল-কোরবানপুর রোডে তিনটি, ডুমুরিয়া ও পাঁচকিত্তা রোডে দুটি এবং চাপিতলা রোডে একটি বেইলি সেতুরও একই অবস্থা সড়ক ও জনপধ বিভাগের (সওজ) কুমিল্লা নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফ উদ্দিন জানান, এসব সেতু দিয়ে পাঁচ টনের বেশি পণ্যবাহী কোনো যানবাহন চলাচলের উপযোগী নয়। এ উপজেলার বেশ কয়েকটি ব্রিজের নির্মাণ কাজ চলছে। অন্যগুলোও পর্যায়ক্রমে নির্মাণসহ ও সংস্কারের কার্যক্রম শুরু করা হবে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান