আগামীকাল আমন্ত্রণ নিয়ে আসছেন চীনের বিশেষ দূত ভারতের পর চীন সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিশ্বজিৎ দত্ত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২৩ ফেব্রুয়ারি আমন্ত্রণ জানাতে ঢাকায় আসেন ভারতের বিদেশ সচিব জয়শংকর। এই সময়ে তিনি বাংলাদেশের কাছে আশ্বাস পান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের বিষয়টি। আগামী ৭ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করবেন। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানোর আগেই জয়শংকর ২১ ফেব্রুয়ারি চীন সফর করেন।
নয়াদিল্লির তরফে তার এই সফরকে বলা হয়েছিল, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ২ বছর আগের চীন সফরের ফলোআপ। কিন্তু পরের দিনই জয়শংকরের বাংলাদেশে আগমন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সম্পর্কে ভারতীয় কূটনীতিকদের ধারণা বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের পরিমাপ করতেই তিনি চীন সফরে গিয়েছিলেন।
অন্যদিকে বাংলাদেশের বিভিন্ন কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরের পর পরই চীন সফরে যাবেন। তবে এটি এপ্রিলের শেষে বা জুনের আগেই হতে পারে। আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানাতে বাংলাদেশ সফরে আসছেন চীনের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশেষ দূত গাও গুশিয়ান।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, ডেনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানির সুবিধা হারাতে যাচ্ছে চীন, ভারত ও বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এই ৩ দেশ ৩ সেক্টরে সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক। আইটি সেক্টরে প্রধান রপ্তানিকারক ভারত, চীনেরও প্রধান রপ্তানি বাজার যুক্তরাষ্ট্র অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাক খাতের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক বাংলাদেশ। ট্রাম্পের বাণিজ্য রক্ষণশীল নীতির কারণে এই দেশই ক্ষতিগ্রস্ত। ক্ষতির এই দিকটি পুষিয়ে নিতে ৩ দেশকেই ঐক্যবদ্ধভাবে সংকট মোকাবিলা করতে হবে।
কূটনীতিকদের মতে, এই ক্ষেত্রে ৩ দেশের মধ্যে সমন্বয় করতে পারে বাংলাদেশ। ভারতের সঙ্গে চীনের পাকিস্তান ইস্যুতে রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে। তাই ভারত সরাসরি চীনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতায় নামবে না। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও চীনের সম্পর্ক ভাল। এই ত্রয়ী সম্পর্ককে আরো জোরালো করতেই শেখ হাসিনা চীন সফর করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে শেখ হাসিনার চীন সফরকে ভারত স্বাভাবিকভাবেই নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব জানিয়েছেন, চীনের সঙ্গে ২২ বিলিয়ন ডলারের যেসব সমঝোতা চুক্তি রয়েছে তার মধ্যে ৬ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি চলতি বছরেই সম্পন্ন হবে। চীনের একটি প্রতিনিধি দলও ্এই মাসেই বাংলাদেশ সফর করবে। এই হিসাবে চীন বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি মাসে বা আরো পরে চীন সফর করবেন কিনা তা তিনি জানেন না বলে জানান। সম্পাদনা : উম্মুল ওয়ারা সুইটি