বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন দোদুল্যমান অসঙ্গতিপূর্ণ ও অস্পষ্ট
উম্মুল ওয়ারা সুইটি: বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন দোদুল্যমান, অসঙ্গতিপূর্ণ ও অস্পষ্ট। সংবিধানে নারী-পুরুষের সমতার ক্ষেত্রে যে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া রয়েছে, তা পাশ কাটিয়ে এ আইন করা হয়েছে। এই আইনটিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করতে হবে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়েশা খানম বলেছেন, সামাজিক বিষয়গুলোর প্রেক্ষিত বিবেচনা করে এই আইনটির বিরুদ্ধে তারা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সংবিধানের এই আইনে নীতিনির্ধারকরা দৃষ্টি দিয়েছেন কি না সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
গতকাল শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ পাস হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে তিনি এ কথা বলেন।
আয়েশা খানম বলেন, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করবে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি। আইনে বেশকিছু অসঙ্গতি রয়েছে। যে শিশুর অভিভাবক নেই তাদেরও বিয়ের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু এ ব্যাপারে আইনে বিয়ের বয়স এবং অভিভাবকের ব্যাপারে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী পরিচালক সালমা আলী বলেন, নারীর মানবাধিকারের সঙ্গে আইনটি সাংঘর্ষিক। নারীর মানবাধিকারে যারা বিশ্বাসী নয়, তাদের জন্য এ আইন করা হয়েছে। আমরা মনে করি, এই আইন নারী শিক্ষাসহ নারীর উন্নয়নে বাধার সৃষ্টি করবে। সালমা আলী বলেন, আইনটির সংশোধন দাবি করেছি এবং এই আত্মঘাতী আইন পরিবর্তনে আমরা শুরু থেকেই আন্দোলন করেছি। আইনের এই পারস্পরিক সাংঘর্ষিক ধারা পরিবর্তনের জন্য আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। না হয়, আমরা আদালতে যাব।