তুরস্কের সংসদে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান পুনবর্হাল হবে আশা এরদোগানের
শাহীনা আক্তার: ব্যর্থ অভ্যুত্থানে অভিযুক্ত সেনা সদস্যদের মৃত্যুদণ্ড দিতে তুরস্কের পার্লামেন্টে ২০১৬ সালে একটি বিল উত্থাপন করা হয়েছিল। সংবিধান পরিবর্তনের মাধ্যমে তুরস্ক এই বিলটি আইন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। আগামী ১৬ এপ্রিল তুরস্কের সংবিধান পরিবর্তনের উপর গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য পদ অর্জনের জন্য তুরস্ক ২০০৪ সালে ‘মৃত্যুদণ্ড’ সম্পূর্ণরুপে বাতিল করেছিল। তবে গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন করলে পার্লামেন্টে এই আইনটি পাশ করার আর বাধা থাকবে না। ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই তুর্কি সামরিক বাহিনীর একটি অংশ ক্ষমতা থেকে এরদোগানকে উৎখাতের চেষ্টায় বিদ্রোহ করে। তবে সামরিক বাহিনীর সব অংশ সমানভাবে সাড়া না দেওয়া ও এরদোগান এবং তাঁর সহকর্মীদের তড়িৎ পদক্ষেপে অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়্যেপ এরদোগান শনিবার বলেছেন তিনি আশা করেন ১৬ এপ্রিলের গণভোটের পর অভিযুক্ত ‘মৃত্যুদন্ড’ পুনর্বহাল করতে তুরস্কের পার্লামেন্টে অনুমোদন পাবে।
এ সময় এরদোগান ইইউ কর্মকর্তা হ্যানস ও জিওয়ের্জের নাম উল্লেখ করে বলেন, তারা কি বলে সেটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। দেশের মানুষ ও আইন কি বলে সেটাই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এর আগেও এরদোগান মৃত্যুদণ্ডকে পুনর্বহাল করার সম্ভাবনা সম্পর্কে ইইউকে সতর্ক করেছিল তবে শনিবারই তিনি প্রথম স্পষ্টভাবে এটি জানিয়ে দিল।
১৫ জুলাইয়ের ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বীর ও শহীদদের পরিবারের এতে শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমার বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা ১৬ তারিখের ভোটের পর আপনাদের দাবি রক্ষার্থে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখতে পার্লামেন্ট অবশ্যই কিছু করবে।
মৃত্যুদণ্ডের ব্যাপারে তুরস্ককে বরাবরই সতর্ক করে আসছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মকর্তারা। সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পুনর্বহাল করলে দেশটি ইউর সদস্যপদ পাবে না বলে হুঁশিয়ার করা হয়েছে। তবে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও তাঁর মন্ত্রীরা বলেছে ১৫ জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে অভিযুক্ত সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা সেদেশের সাধারণ মানুষের দাবি। জার্মানি ও নেদারল্যান্ডে তুরস্কের গণভোটের প্রচারণায় বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ইউরোপের সঙ্গে তুরস্কের বিরোধ চলছে। এই আইনের মাধ্যমে ইইউ’র সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের ইতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আরব নিউজ ও মিডল ইস্ট আই, স্ট্রেইট টাইমস, সম্পাদনা: রবিউল