ঝুঁকিপূণ ভবন ভাঙতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইলেন সাঈদ খোকন
শাকিল আহমেদ: ঐতিহ্যবাহী হলেও জননিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এমন ভবনগুলো ভাঙ্গার ক্ষেত্রে সরকারি বিধি-নিষেধ রয়েছে। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন।
গতকাল সকালে ধলপুরে ক্লিনার কলোনিতে মেয়র সাঈদ খোকন হাতুড়ি দিয়ে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ঝুঁকিপূর্ণ ভবনসমূহ ভেঙে ফেলার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। রাজধানীর শাখারী বাজার, তাঁতিবাজার, দয়াগঞ্জ শ্যামবাজার, লালকুঠিসহ বিভিন্ন এলাকার জরাজীর্ণ ভবন রয়েছে। সামান্য কারণে বা ভূমিকম্পে এসব ভবন ভেঙে ব্যাপক প্রাণহানী ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির আশংকা রয়েছে। কিন্তু সরকারি বিধি-নিষেধের কারণে এসব ভবন ভাঙা যাচ্ছে না।
মেয়র বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার কাছে ঐতিহ্যও জরুরী কিন্তু জননিরাপত্তা আরো বেশি জরুরী। ইউরোপের মতো দেশে ঐতিহ্যবাহী কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ ভবনসমূহের সামনের অংশ সংরক্ষণ করে পেছনের অংশ সংস্কার করা হয়ে থাকে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, নিউমার্কেট, বনলতা মার্কেট অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ইতোপূর্বে মার্কেট কমিটি নিজেরাই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছিল। তবে তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে ডিএসসিসি শিগগিরই এ মার্কেট দুটির ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।
ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভাঙার সময় ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল ও প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জে. শেখ সালাউদ্দিন এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রাজউক এবং ডিএসসিসির হিসাবমতে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ১০৯টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে। এরমধ্যে ডিএসসিসির ১৯টি ভবনের মধ্যে ইতোমধ্যে ধলপুরে ৩টি, দয়াগঞ্জে ২টি ও সূত্রাপুরে ২টি ভবনসহ মোট ৭টি ভবন ভেঙে ফেলা হয়েছে।
গতকাল ধলপুরে ৪টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের মধ্যে সর্বশেষ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। ব্যক্তিমালিকানাধীন ভবনসমূহ নিজ উদ্যোগে স্বল্পতম সময়ে ভেঙে ফেলার জন্য নোটিশ দেয়া হবে। অন্যথায় ডিএসসিসির পক্ষ থেকে এ বিষয়েও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান মেয়র সাঈদ খোকন।