রেলওয়ের অব্যবহৃত জমিতে হবে মেডিকেল কলেজ, পাঁচ তারকা হোটেল ও শপিংমল
সাইদ রিপন: রেলওয়ের অব্যবহৃত জমিতে মেডিকেল কলেজ, পাঁচ তারকা হোটেল, নার্সিং ইনস্টিটিউট, শপিংমল ও গেস্ট হাউস এবং কন্টেইনার ডিপো (আইসিডি) নির্মাণ করতে চায় রেলপথ মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যেই আরএডিপিতে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১১টি প্রকল্প যোগ করা হয়েছে। প্রকল্পগুলোর জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা।
সূত্র জানায়, রেল মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ সংক্রন্ত একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। পরিকল্পনা কমিশনের পক্ষে থেকে প্রকল্পগুলো সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) অন্তর্ভুক্তি হয়েছে বলে জানা গেছে। রেলওয়ের অব্যবহৃত জমি কাজে লাগানো, রেলওয়ের আয় বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যসেবা ও ভ্রমণকারীদের সেবা নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফিরোজ সালাহ উদ্দিন বলেছেন, প্রায় সবগুলো প্রকল্পেই বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে সাড়া মিলেছে। বর্তমানে দরপত্রসহ বিভিন্ন কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এগুলো দেখছে পিপিপি কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেছেন, এসব প্রকল্প চলতি অর্থবছরের এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল। আবার নতুন করে আরএডিপিতেও যুক্ত করা হয়েছে। বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা সাড়া দিয়েছে কি না সেটি বলতে পারছি না।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, পিপিপিতে যেসব প্রকল্প যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছেÑ ঢাকার কমলাপুরে রেলওয়ে হাসপাতাল সংলগ্ন অব্যবহৃত জমির ওপর ৫০ আসনের একটি মেডিকেল কলেজ, ৫০ আসনের একটি নার্সিং ইনস্টিটিউট ও বিদ্যমান রেলওয়ে হাসপাতালকে আধুনিকায়ন করে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ। এটি বাস্তবায়নে বেসরকারি অর্থায়ন ধরা হয়েছে ৮০ কোটি টাকা। এ ছাড়া চট্টগ্রাম রেলওয়ে হাসপাতাল সংলগ্ন অব্যবহৃত জমিতে ৫০ আসনের একটি মেডিকেল কলেজ, ৫০ আসনের একটি নার্সিং ইনস্টিটিউট এবং বিদ্যমান হাসপাতালকে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ, এক্ষেত্রে বেসরকারি অর্থায়ন ৮০ কোটি টাকা। খুলনায় অব্যবহৃত জমিতে একটি নতুন মেডিকেল কলেজ, ২৫০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ। বেসরকারি অর্থায়ন ৮০ কোটি টাকা। নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ে হাসপাতাল সংলগ্ন অব্যবহৃত জমিতে ৫০ আসনের একটি মেডিকেল কলেজ এবং বিদ্যমান রেলওয়ে হাসপাতালকে আধুনিকায়ন করে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ। এতে বেসরকারি অর্থায়ন ৬০ কোটি টাকা। পাবনার পাকশীতে রেলওয়ে হাসপাতাল সংলগ্ন অব্যবহৃত জমিতে ৫০ আসনের একটি মেডিকেল কলেজ এবং বিদ্যমান রেলওয়ে হাসপাতাল আধুনিকায়ন করে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ। বেসরকারি অর্থায়ন ৬০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
মেডিকেল কলেজ ছাড়াও চট্টগ্রাম রেলওয়ের পে অ্যান্ড ক্যাশ অফিসের পূর্ব পাশে অব্যবহৃত জমিতে একটি শপিংমল কাম গেস্ট হাউস নির্মাণ করা হবে। এক্ষেত্রে বেসরকারি অর্থায়ন ধরা হয়েছে ৯২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। কুমিল্লা রেলস্টেশনের কাছে রেস্ট হাউসের পাশে অব্যবহৃত জমিতে শপিংমল কাম গেস্ট হাউস নির্মাণ করা হবে। এতে বেসরকারি অর্থায়ন ২৯৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। খুলনা রেল স্টেশনের পাশে অব্যবহৃত জমিতে শপিংমল কাম গেস্ট হাউস নির্মাণ করা হবে। এতে বেসরকারি অর্থায়ন ২৪০ কোটি টাকা। রেলওয়ের অব্যবহৃত জমিতে ঢাকায় একটি পাঁচ তারকা হোটেল ও শপিংমল নির্মাণ করা হবে। বেসরকারি অর্থায়ন ৭৫০ কোটি টাকা। চট্টগ্রামে একটি আর্ন্তজাতিক মানের পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ করা হবে। এতে বেসরকারি অর্থায়ন ধরা হয়েছে ৮৫০ কোটি টাকা এবং ধীরাশ্রম রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি নতুন আইসিডি নির্মাণ প্রকল্প রয়েছে। এটি বাস্তবায়নে বেসরকারি অর্থায়ন ধরা হয়েছে ২০ কোটি টাকা। সম্পাদনা: এনামুল হক