কুমিল্লায় শিলাবৃষ্টিতে ভেঙে গেছে সবজি চাষিদের ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন
সাদেক হোসেন, চান্দিনা(কুমিল্লায়) : ফাগুনে দ্বিগুন বৃষ্টিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কুমিল্লার কৃষক। মাত্র এক সপ্তাহ পূর্বের বৃষ্টির রেশ কাটতে না কাটতেই জেলা জুড়ে আবারও শিলা বৃষ্টির আঘাতে ভেস্তে গেছে সবজি চাষীদের ঘুড়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন। খড়া-বৃষ্টির খেলার কাছে ধরাশায়ী কুমিল্লা জেলার কৃষক। সপ্তাহ খানেক আগে হঠাৎ শিলা বৃষ্টি সহ মুশলধারে প্রবল বর্ষণে সৃজিত আলু, টমেটো, মিষ্টিকুমড়া, লাউ, করলা, বরবটি, বাংগী-তরমুজ সহ অধিকাংশ শাক-সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্হ হয়েছেন কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন উপজেলার চাষিরা।
জেলার বুড়িচং উপজেলার কাবিলা, নিমসার, কোরপাই, চান্দিনার বড় গোবিন্দপুর, পিহর, ছায়কোট, তুলাতলী, চান্দিয়ারা, রারিরচর এলাকার কৃষকগণ তাদের এই ব্যাপক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সপ্তাহান্তেই তাদের সর্বাপেক্ষা উচু জমিগুলোকে টার্গেট করে জমি প্রস্তুতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। টানা এক সপ্তাহের খড়ায় স্বল্প মেয়াদী শাক-সবজি সৃজনে জমি প্রস্তুতে ব্যস্ত হয়ে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছিলেন কৃষকরা। আশাবাদী কৃষকের মধ্যে অনেকেই তাদের বীজতলায় বীজ পুতে ঘরে ফিরার পূর্বেই ফের শিলা বৃষ্টিতে তাদের ঘুড়ে দাঁড়ানোর আশা যেন নিমিশেই গুড়েবালি হয়ে গেছে। কৃষক সেলিম সরকার বলেন আজকের এই মাঝারি বৃষ্টির কারণে জমিতে যে পুনরায় আবার বীজ বুনব সে সাধ্যও সামর্থ আমার নিই। এই বৎসরের প্রথম দিক থেকেই অনাকাঙ্খিত বৃষ্টির জন্য আলু চাষ করতে দেরি হওয়া এবং আলু মওসুমের শেষের দিকে প্রবল বৃষ্টির কারণে জমির আলু নিয়ে বেশ বিপাকে পরলেও অনেকটা মনোবল নিয়ে ফের উঠে দাঁড়াবার চেষ্টা করেছিলাম।ছায়কোট গ্রামের কৃষক ফজলু মিয়া জানান, আমি ১০ শতাংশ জমিতে লাল শাকের বীজ ফেলাবস্থায় আবারও শিলা বৃষ্টিতে পুরো বীজ তলা নষ্ট হয়ে গেছে। চান্দিনা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এহতাসেম রাসুলে হায়দার জানান, শীত কালীন শাক-সবজির অধিকাংশই উত্তোলন হয়ে গেছে। নতুন রোপনকৃত জমির কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। তবে মাঠ পর্যায়ে এখনও রিপোর্ট সংগ্রহ হয়নি আমাদের। তথ্য পেলে বিস্তারিত ভাবে জানা যাবে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান