চকরিয়ায় হুমকির মুখে উপকূলীয় অঞ্চলের সবুজ বেষ্টনী
এম রায়হান চৌধুরী চকরিয়া (কক্সবাজার) :চকরিয়া উপজেলার উপকূলীয় ইউনিয়ন বদরখালীর দক্ষিণে প্রকাশ্যে প্যরাবন কেটে চিংড়ি প্রকল্প নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। গত দুইমাস ধরে একটি প্রভাবশালী মহল দুটি স্কেভেটর দিয়ে মাটি কেটে এভাবে প্যারাবন উজাড় করে চিংড়ি প্রকল্প নেমেছে।
অভিযোগ উঠেছে, জড়িতরা ইতোমধ্যে উপকূলীয় অঞ্চলের ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট নিধনে মেতে উঠেছে। এ অবস্থার কারণে বর্তমানে উপকুলীয় অঞ্চলের সবুজ বেষ্টনী চরম হুমকির মুখে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চকরিয়া উপজেলার উপকুলীয় ইউনিয়ন বদরখালীর দক্ষিণে উপকুলীয় বনবিভাগের অধীন মহেশখালী গোরকঘাটা রেঞ্জের জেমঘাটের পূর্ব পাশের বিশাল আয়তনের প্যারাবন ইতোমধ্যে দখলে নিয়েছে একটি প্রভাবশালী চক্র। গত দুইমাস ধরে দখলে নেয়া এসব প্যারাবনে চিংড়ি প্রকল্প তৈরী করার জন্য অভিযুক্ত প্রভাবশালী চক্র দুটি স্কেভেটর (মাটি কাটার যন্ত্র) দিয়ে মাটি কেটে এবং ম্যানগ্রোভ ফরেস্টের সৃজিত বাইন ও কেইড়া গাছ কেটে জায়গা সমতল করছে। পাশাপাশি জায়গা সমতল করে নেয়া মাটি দিয়ে চিংড়ি প্রকল্পের চারিদিকে বাঁধ ও ক্যানেল নির্মাণ করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, প্যারাবন কেটে চিংড়ি প্রকল্প তৈরির সঙ্গে চকরিয়া পৌরসভার কাহারিয়াঘোনা এলাকার এক প্রভাবশালী কাজের তদারকিতে রয়েছে। ঘটনাস্থলে প্যারাবন কাটার ছবি তুলতে গেলে কয়েকজন লোক সংবাদকর্মীদের বাধা দেন। জানতে চাইলে উপকূলীয় বনবিভাগের শাপলাপুর বনবিট কর্মকর্তা জানান, প্যারবন কেটে চিংড়ি প্রকল্প তৈীিতে জড়িতরা প্রভাবশালী এবং রাজনৈতিকভাবে দাপটশালী। যেই এলাকায় প্যারাবন নিধন করা হচ্ছে সেখানে যেতে প্রয়োজনীয় জনবল ও অস্ত্রশস্ত্র থাকা দরকার। তাই নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে যেতে তারা সাহস পাচ্ছেন না। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান