মদের দোকান বন্ধ করতে ভোট
ডেস্ক রিপোর্ট : প্রচার হয়েছে, জনসভা হয়েছে, শোভাযাত্রাও হয়েছে। এবার হল ভোট। সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যবৃ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। তবে কোনও বিধায়ক বা সাংসদের জন্য নয়। রীতিমতো নিয়মকানুন মেনে এই ভোট হল মদের দোকান বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে জনমত জানার জন্য। সেখানে ভোটার শুধুই মহিলারা। এই দৃশ্যই গতকাল দেখা গেল রাজস্থানের আমের ব্লকের রোজদা গ্রামে। ‘শরাব সংঘর্ষ সমিতি’–র উদ্যোগে প্রায় একবছর আগেই শুরু হয়েছিল লড়াই। সচেতনতা শিবিরের মাধ্যমে গ্রামের মানুষের মধ্যে মদ্যপানের কুফলগুলোর দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। শরাব সংঘর্ষ সমিতির মুখপাত্র উত্তম কুমার শর্মা বলছেন, ‘মদ খেয়ে গাড়ি চালানোর কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। তার ফলে অনেকের ক্ষতিও হয়েছে। পাশাপাশি রাস্তার উপরে মদের দোকান থাকার জন্য এলাকার মহিলাদের অনেক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছে।’ আজকাল
আমেরের তহশিলদার রতন কউর জানিয়েছেন, জনমতকে প্রাধান্য দিয়েই রাজস্থান এক্সাইজ রুলস ১৯৭৫ অনুযায়ী এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে অংশ নেওয়া মানুষদের ৫১ শতাংশ যদি মদের দোকান তুলে দেওয়ার পক্ষে রায় দেন তাহলে ওই গ্রামে আর মদের দোকান খুলতে দেওয়া হবে না। ৪,২০৬ জন ভোটারের জন্য চারটি পোলিং বুথ তৈরি করার পাশাপাশি নির্বাচন শাবিৃপূর্ণভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রচুর পুলিসকর্মীও মোতায়েন করা হয়েছিল। আর সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যবৃ সমস্ত নিয়মকানুন মেনে সুষ্ঠভাবে নির্বাচন সম্পন্নও করে তারা।এই প্রথম নয় গ্রামে মদের দোকানের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার জন্য এই ধরনের অভিনব নির্বাচন গত বছর ২৯ মার্চ রাজস্থানের রাজসামান্দ জেলার কাচ্চাবালি পঞ্চায়েতেও হয়েছিল। আর সেখানে বেশিরভাগ মানুষ মদের দোকান নিষিদ্ধ করার পক্ষেই রায় দিয়েছিলেন। তবে রোজদা গ্রামের মদ ব্যবসায়ীদের মতে, এ সবই পঞ্চায়েতের ‘গিমিক’। সস্তা প্রচারের জন্য কিছু লোক গ্রামের মানুষকে উসকানি দিচ্ছেন। এই সব করে কিছুই হবে না। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ