বঙ্গবন্ধু ফাঁসির মঞ্চেও দেশের মানুষের মুক্তির কথাই বলেছেন : স্পিকার শিরিন শারমীন
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফাঁসির মঞ্চেও দেশের মানুষের কথা ও তাদের মুক্তির কথা বলেছিলেন। তিনি দেশের মানুষের কথাই ভাবতেন। স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন ও সেই স্বপ্ন তিনি বাস্তবায়ন করেছেন। তিনি শিশু কিশোরদেরও ভীষণ ভালবাসতেন। কারণ তিনি জানতেন আজকে শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। যারা আজকে শিশু তারাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তোমরা নিজেদেরকে এমনভাবে গড়ে তুলবে যাতে আগামী দিনে দেশ পরিচালনায় নিজেদের ভূমিকা রাখতে পার। তিনি সোমবার জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত ‘১৭ মার্চ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, দাবা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. রকিবুর রহমান, অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সংগঠনটির মহাসচিব মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, সংগঠনের উপদেষ্টা মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা এমপি, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম কায়কোবাদ, বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম।
অনুষ্ঠানে দাবা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ায় পুরস্কার লাভ করে ইউরোপীয়ান স্টান্ডার্ড স্কুলের ছাত্র ইশমাম রায়শাহরার সাদমান জোহায়ের, তাহমিদুল হক, মেনন রেজা নীর, মাহমুদ শারিফ, দিবাঙ্কর দিবিয়া, জায়িফ মাহীন চৌধুরী, মো. সাজিদুল হক, মো. শফিকুল ইসলাম, ড্যানিয়েল মুরাদ ও অমিত কুমার রায়। পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট তুলে দেন স্পিকার শিরিন শারমীন চৌধুরী। এছাড়াও মেয়েদের গ্রুপে দাবায় দশজন পুরস্কার লাভ করে। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া সকল স্টুডেন্টকে খাতা ও জ্যামিটি বক্স উপহার দেওয়া হয়। পুরস্কার প্রদান শেষে তিনি শিশু কিশোরদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়।
শিরিন শারমীন অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে শিশুদের উদ্দেশে বলেন, তোমরা কি জানো বঙ্গবন্ধুর ডাক নাম কি? বলেন, তার ডাক নাম ছিল খোকা।
আবার জানতে চান তোমরা কি সবাই ৭ মার্চের ভাষণ শুনেছ? এই সময়ে যারা শুনেছে তাদের সবাইকে হাত তোলার জন্য বলেন। এই সময়ে হলভর্তি প্রায় এক হাজার শিশু সবাই হাত তুলে তাকে জানান, তারা সবাই ৭ মার্চের ভাষণ শুনেছে।
এই সময় স্পিকার শিরিন শারমীন চৌধুরী বলেন, কেবল তার ৭ মার্চের ভাষণটি শুনলেই হবে না। এই ভাষণটি তোমরা শুনবে এবং এটা পর্যালোচনা করবে। আর পর্যালোচনা করে এরপর তোমরা তার কথাগুলো শুনে কাজ করবে। সেইসঙ্গে তোমরা তার কথার মর্মার্থও বোঝার চেষ্টা করবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তোমাদের জন্য অনেক কাজ করেছেন। তিনি শিশু কিশোরদের অনেক ভালবাসতেন। এই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য তিনি শেখ রাসেল শিশু কিশোর পরিষদকে ধন্যবাদ জানান। উল্লেখ্য, প্রতিবছর এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকেন ও পুরস্কার প্রদান করেন। এবার তিনি বিভিন্ন সরকারি কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে সময় দিতে পারেননি বলে জানান অনুষ্ঠানের আয়োজকরা। ২৯ বছর আগে শেখ হাসিনা বিদেশ থেকে ফিরে এসে দেশে এই সংগঠনটি তৈরিতে কে এম শহিদুল্লাহকে সব রকম সহায়তা দেন। তার হাতেই সংগঠনের দায়িত্ব দেন। তিনি সংগঠনের কর্মকা- এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে তারা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।