জিল্লুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা ভৈরবকে জেলা করার প্রক্রিয়া চলছে : কাদের
আল হেলাল শুভ: বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পরও ভৈরবকে জেলা করার প্রক্রিয়া থেমে যায়নি বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ওয়াবদুল কাদের বলেছেন, ভৈরবকে জেলা করার প্রক্রিয়া চলছে। যেটি শুরু করেছিলেন জিল্লুর রহমান। উনার মৃত্যুর সঙ্গেই ভৈরবকে জেলা করার প্রক্রিয়া থেমে যায়নি। সরকার সময় সুযোগমতো ভৈরব জেলা গঠনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। গতকাল সোমবার জিল্লুর রহমানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকীতে সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে এসব কথা বলেন তিনি। এদিকে জিল্লুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে ঢাকার গুলশানে নিজ বাসভবন ও নিজ এলাকা ভৈরবে দোয়া ও মিলাদ-মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
সকালে রাজধানীর বনানী করবস্থানে জিল্লুর রহমানের সমাধিতে ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগ নেতারা। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ‘জিল্লুর রহমানের শূন্যতা আমাদের এখনো ভোগায়’ এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, জিল্লুর রহমান একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিক। আজকের দিনে আমরা যখন সৎ, নিষ্ঠাবান ও নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিক খুঁজি তখন জিল্লুর রহমান নিজেই তার নিজের উদাহরণ। তিনি একসময় আওয়ামী লীগের প্রাণভোমরা ছিলেন, আজ তাকে খুব মনে পড়ছে। তিনি আমাদের রাজনৈতিক আর্দশ ছিলেন। তাকে সামনে রেখেই আমরা রাজনীতি করেছি।
জিল্লুর রহমানের মৃতুবার্ষিকীতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত পড়া হয়। এ সময় জিল্লুুর রহমানের ছেলে, কিশোরগঞ্জ-৬ এর সংসদ সদস্য ও বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ভৈরব জেলা বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলেছে।
এদিকে জিল্লুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানায় যুবলীগ। সংগঠনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর নেতৃত্বে গতকাল সকালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করা হয়।
এছাড়াও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা প্রয়াত এ রাষ্ট্রপতির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
জিল্লুর রহমান কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ১৯২৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন তিনি। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি দেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন তিনি। পাঁচটি পৃথক মেয়াদে ১২ বছর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ সালের ২০ মার্চ বার্ধক্যজনিত রোগে সিঙ্গাপুরের এক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন বিশিষ্ট এ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। সম্পাদনা: এনামুল হক