বদলে যাওয়া তরুণ সমাজের প্রতি…
মুনশি মুহাম্মদ আরমান
দাঁড়ি-টুপি পুরুষের সৌন্দর্য বাড়ায় বৈ কমায় না। আজকাল পথে ঘাটে চলাফেরা করতে বড্ডো বেমানান লাগে। দাঁড়ি ছাড়া এতো এতো স্মার্ট দাবিদার বুদ্ধিমান তরুণদের দেখে আফসোস হয় । গ্রাম থেকে শহর, সব জায়গায়ই এসব চলছে রোজ। এ ছাড়াও বাঙলার আনাচে কানাচে কেমন যেনো একটা পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে আদতে, সংস্কৃতিতে। নিজেদের সুন্দর সংস্কৃতি ছেড়ে পশ্চিমা সভ্যতা-সংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণ করা হচ্ছে। পোশাকেও এসেছে বিধর্মীদের অনুকরণ। কাপড় কিনতে তো আর জ্ঞানীগুণী হতে হয় না। বিশেষ কোনো যোগ্যতাও লাগে না। কিছু পয়সাপাতি থাকলেই চলে। উল্টোপাল্টা ডিজাইনে দিব্যি সভ্য মনে করা হচ্ছে। তরুণীদের মাথার দীঘল কালো চুল এখন সোনালি রঙে ছেয়ে গেছে। বাঙালি নারীর কালো চুল তার গৌরব হারাতে বসেছে। তরুণদের চুল দিব্যি সজারুর মতো খাড়া খাড়া বনে যাচ্ছে। এটাই নাকি আধুনিক ফ্যাশন। বোরকা ছেড়ে তরুণীরা অবাধে পরছে গেঞ্জি, শার্ট। ইসলামের আদর্শের কথা আর না-ই বা বললাম, লাজুকতাও নেই যেনো ওদের স্বভাবে। বুক বরাবর এখন ‘লাভলী বয়’ লেখা টি-শার্টে দিব্যি নিজেকে স্মার্ট ভাবছে। যা দেখে বখাটে ছেলেদের হার্টবিট প্রতিনিয়ত ওঠানামা করে। নারীর ইজ্জত-আব্রুই তার ভূষণ। সেসব কেবল পর্দাতেই সম্ভব। এদিকে জায়গায় জায়গায় ছেঁড়া জিন্সে অবাধে ঘোরাফেরায় বড্ডো স্বাধীন মনে করছে তরুণরা।
রাস্তার মাটি অবধি যার দৈর্ঘ্য। যে তরুণ পথের মোড়ে মুখে সিগারেট জ্বালিয়ে ছেঁড়া জিন্স পরে খাড়া চুলে দাঁড়িয়ে থাকতো এতোটা দিন, আজকাল তারা আবার নগ্নতায় আরেকটি ধাপ এগিয়েছে। আফসোস! হট বয়, সেক্সি বয় নামে নিজেকে পরিচিত করাচ্ছে যেখানে সেখানে। মস্তিষ্ক সুস্থ থাকলে একটুখানি ভাবা উচিত। আবার এসব ছেলেরাই নাকি আজকাল হট গার্লদের স্বপ্নবালক। ড্রিম পলিউশন হবার আর দেরি নেই বুঝি এই শতো আউলিয়ার পবিত্র দেশে। ছেলে স্টাইল করতে করতে ধরছে মেয়ের সূরত। আর মেয়ে স্টাইলের মাত্রায় হয়ে যাচ্ছে ছেলে। এই বদলটা কেমন যেনো সর্বগ্রাসী।
শহরতলী থেকে শহরে, গুলিস্তান থেকে গুলশানে, সবখানেই এটি আধুনিক ও সুন্দর ফ্যাশন হিসেবে বাহ্বা কুড়োচ্ছে। অথচ কালেভদ্রে না এর মাঝে আছে কোনো সুস্থ ও সুন্দর সভ্যতা, আর না-ই বা এসবে রয়েছে কোনো ইসলামের আদর্শ বা সভ্য সমাজের সুন্দর সংস্কৃতি।