বিনোদন যখন ভাষা সাহিত্য
মাহফুজ আল মাদানী
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজের চারপাশের সঙ্গতি-অসঙ্গতি নিয়ে মানুষের জীবন পরিচালিত হয়। সংস্কৃতি সমাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কিন্তু সুস্থ ধারার সংস্কৃতি না থাকলে সমাজের মাুনষগুলো অপসংস্কৃতিতে নিমজ্জিত হতে পারে।আর এটাই স্বাভাবিক। আমাদের সমাজ বর্তমান সময়ে অপসংস্কৃতির করাল গ্রাসে নিমজ্জিত। সমাজের যুবক-তরুণদের অপসংস্কৃতি, উগ্রবাদ, জঙ্গীবাদ, মাদকাসক্তিসহ অন্যান্য সকল অন্যায়মূলক কাজ থেকে বিরত রাখতে সুস্থধারার সংস্কৃতিতে তাদের মনযোগী করাতে হবে। এ ক্ষেত্রে সাহিত্য চর্চায় গুরুত্বারোপ অতীব জরুরি। এ দেশে কবি-সাহিত্যিকদের অবদান কোন অংশে কম নয়। ভাষা আন্দোলনসহ মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে লিখনীর মাধ্যমে যুদ্ধকে করেছেন আরো বেগবান। যার ফলে আজো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে লেখক-পাঠকদের মিলনমেলা বসে। সুপ্ত প্রতিভা জাগিয়ে তুলতে সাহিত্য চর্চার বিকল্প নেই। পড়াশোনার পাশাপাশি ছড়া, কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদির মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে সমাজের অসঙ্গতিগুলো। সাহিত্য চর্চা এক ধরণের নেশা। এ নেশাতে তরুণ তরুণীদের অংশগ্রহণ সময়ের দাবি। তাদের মাঝেই আছে আগামীর কাজী নজরুল, রবীন্দ্রনাথ আর ফররুখেরা। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাহিত্য পাঠের আসরের মাধ্যমে উৎসাহী করতে হবে তরুণ সমাজকে। তবেই সমাজে অন্যায় কাজের চর্চা কম হবে। কমবে উগ্রবাদ, জঙ্গীবাদের। অপসংস্কৃতিগুলো নিস্তেজ হতে বাধ্য হবে। সুস্থ সংস্কৃতি বিকাশে সাহিত্য চর্চাকে গুরুত্বারোপ করি।