গাইবান্ধায় অনুষ্ঠিত হল ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্প’ বলার আসর
রফিকুল ইসলাম গাইবান্ধা : গাইবান্ধা পৌরপার্কে স্বাধীনতার বিজয় স্তম্ভে গতকাল বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী ‘চলো ফিরে যাই ৭১ এ’ শীর্ষক মুক্তিযোদ্ধাদের মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলার আসর অনুষ্ঠিত হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন দিবস স্মরণে গাইবান্ধার শিশু কিশোরদের সংগঠন আমরা ‘ক’ জন অগ্রদূত এই গল্প বলা আসরের আয়োজন করে। গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র অ্যাড. শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন গল্প বলা আসরের উদ্বোধন করেন। এই আসরে ৭১’র মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলেন- মুক্তিযোদ্ধা শাহ শরিফুল ইসলাম বাবলু, গৌতম চন্দ্র মোদক, মাহমুদুল হক শাহজাদা, নাজমুল আরেফিন তারেক, ওয়াশিকার ইকবাল মাজু, মবিনুল হক জুবেল, শামছুল আলম। এছাড়া শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের মধ্যে শহীদ মধুর বড় ভাই মঞ্জু, শহীদ প্রভাত চক্রবর্ত্তীর স্ত্রী মুক্তা রানী চক্রবর্ত্তীসহ অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- পৌরসভার প্যানেল মেয়র জিএম চৌধুরী মিঠু, তানজিমুল ইসলাম পিটার প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ৭১’র ২৩ মার্চের স্বাধীনতা সংগ্রামের এই উত্তাল দিনে গাইবান্ধা জেলার শহরের পাবলিক লাইব্রেরি সংলগ্ন তৎকালীন টেনিস কোর্টে সর্বপ্রথম পাকিস্তানি পতাকা পুড়িয়ে দিয়ে লাল সবুজ রংয়ের স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক রেসকোর্স মাঠে দেয়া ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়েই কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের এবং আওয়ামী লীগের তৎকালীন নেতৃবৃন্দ এই প্রতিরোধ দিবসে পাকিস্তানি পতাকা পুড়িয়ে দেয়। এতে উদ্বুদ্ধ হয়েই জেলা শহরের নতুন বাজারে কর্মরত দর্জি প্রয়াত বেলাল শেখ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেসময় লাল সবুজের মাঝখানে বাংলাদেশের মানচিত্র অঙ্কিত স্বাধীনতার পতাকা তৈরি করেন।সম্পাদনা: মুরাদ হাসান