থাই স্পা-এর আড়ালে কী চলছিল আসানসোলে, মুখ লুকোলেন কর্মীরা!
ডেস্ক রিপোর্ট : আসানসোলের মধ্যে একটুকরো থাইল্যান্ড! অভিজাত মলের মধ্যে থাই স্পা। আঁধো আলো পরিবেশ, হাল্কা মিউজিকের সঙ্গে বিদেশি সুন্দরীদের নরম আঙুলের ছোঁয়া। এইভাবেই চলছিল মাসাজ পার্লার। কিন্তু বাড়া ভাতে ছাই দিলেন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তার নির্দেশে পুরকর্তারা অভিযান চালালেন থাই স্পা-তে। রুমের ভিতর থেকে সুন্দরীদের সঙ্গে বেরিয়ে এলেন পুরুষ গ্রাহকরাও। সিল করে দেওয়া হল আসানসোল গ্যালাক্সি মলের ওয়েলনেস থাই স্পা। এবেলা
আসানসোল প্রশাসন ও পুর আধিকারিকদের মতে, এই ধরনের ব্যবসা সম্পূর্ণ বে আইনি। বিদেশি মহিলারা মাসাজ করবেন আর পুরুষরা সেখানে গ্রাহক হয়ে টাকা ওড়াবেন এটা হতে দেবেন না। তাদের কাছে অভিযোগ ছিল, ইউনিসেক্স মাসাজ পার্লারের আড়ালে আপত্তিকর ব্যবসা চলছে। বেশ কিছু অসঙ্গতি এবং অভিযোগ পাওয়ার পরেই ওই স্পা-তে অভিযান চালানো হয় বলে জানান সরকারি কর্তারা। অভিযুক্ত স্পা কর্তৃপক্ষ অভিযানের সময়ে যথাযথ কাগজ দেখাতে পারেননি বলেও দাবি পুরকর্তাদের। আরও অভিযোগ, স্পা-তে মাসাজ-সহ শারীরিক যতেœর যে পরিষেবাগুলি দেওয়ার কথা, রেট চার্ট অনুযায়ী তার সর্বোচ্চ দর ২৪০০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু বিল বইয়ে দেখা যাচ্ছে ৪৫০০ টাকারও বেশি খরচ করে মাসাজ করিয়েছেন কোনও কোনও গ্রাহক। নির্দিষ্ট রেটের বাইরে স্পেশাল রেটে ঠিক কোন মাসাজ দেওয়া হয়, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে পুরকর্তাদের। যার সদুত্তর দিতে পারেনি স্পা কর্তৃপক্ষও। পুর আধিকারিকরা জানান, ট্রেড লাইসেন্স করানোর সময়েও ইউনিসেক্স পার্লারের বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ