‘নারীর গৃহস্থালির কাজকে জাতীয় অর্থনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’
ডেস্ক রিপোর্ট: গৃহস্থালীর কাজকে মূল্যহীন বা অদৃশ্য কাজ হিসেবে চিহ্নিত না করে তা জাতীয় অর্থনীতিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে ইক্যুইটিবিডিসহ ২২টি নাগরিক সংগঠন। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এ দাবি জানান। বক্তারা বলেন, যুগ যুগ ধরে এসব গৃহশ্রমকে অদৃশ্য কাজ হিসেবে চিহ্নিত করার কারণে পরিবারে সমাজে ও রাষ্ট্রে নারীরা প্রতিনিয়ত বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। অথচ গবেষণায় দেখা গেছে, এই অবদান মোট জিডিপি’র প্রায় ৭৯ ভাগ। একজন কর্মজীবী নারী ও গৃহীনি উভয় ভোর থেকে রাত পর্যন্ত এই নিরব শ্রম দিয়ে থাকেন।
গ্লোবাল ডেইজ অব এ্যাকশন উপলক্ষে কর ন্যায্যতা এবং নারীর অধিকার নিশ্চিত করার জন্য ইক্যুইটিবিডি’র সচিবালয় সম্পাদক মোস্তফা কামাল আকন্দের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ‘জাতীয় অর্থনীতিতে নারীর গৃহস্থালীর কাজকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে’ আয়োজিত মানববন্ধনে আয়োজকদের পক্ষ থেকে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইক্যুইটিবিডি’র সমন্বয়কারি ফেরদৌস আরা রুমী। অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন, ভূমিহীন সমিতির ডা.শামসুল ইসলাম, প্রচেষ্টা কল্যাণ সংস্থার কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষক ফেডারেশনের জায়েদ ইকবাল খান, মুক্তির ডাকের আসিফ ইকবাল, অর্পনের আব্দুল কাদের হাজারী প্রমূখ।
লিখিত বক্তব্যে ফেরদৌস আরা রুমী বলেন, নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের কাছে ভ্যাট, ট্যাক্স কিংবা বাজেট এই কথাগুলো কোন অর্থ বহন করে না। জিনিসপত্রের দাম তাদের হাতের নাগালে রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, মজুরী বৃদ্ধি, পানি, বিদ্যুৎ ইত্যাদি নিরবিচ্ছিন্নভাবে পেলে তারা খুশি। অথচ এসবের চাহিদা মাফিক প্রাপ্তি তাদের জন্য মোটেও সহজ নয়। এছাড়া অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে জড়িত শ্রমিকের মধ্যে অর্ধেকের বেশি নারী যারা নি¤œ মজুরীতে শ্রম দিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত। অন্যদিকে নারীর গৃহশ্রমের কোন স্বীকৃতি নেই জাতীয় অর্থনীতিতে, যা হিসেব করলে দেখা যায় মোট জিডিপি’র প্রায় ৭৯ ভাগ (সিপিডি’র গবেষণা, ২০১৪)।
জায়েদ ইকবাল খান বলেন, সরকার ৪০টি মন্ত্রণালয়ে জেন্ডার বাজেট অন্তর্ভুক্ত করলেও জেন্ডার বাজেটের প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অনেক ক্ষেত্রে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকে। বরাদ্দকৃত অর্থ অনেক সময় খরচ হয় না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। প্রশাসনিক দুর্বলতা ও দুর্নীতির কারণে প্রকল্পগুলোর সুবিধা থেকে অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা বঞ্চিত হন।