মোহান্ত থেকে মুখ্যমন্ত্রী
ডেক্স রিপোর্ট: যোগী আদিত্যনাথ আর বিতর্ক,একে অপরের সমার্থক। আড়াই দশক ধরে উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চলীয় রাজনীতিতে সবচেয়ে স্পর্শকাতর নাম যোগী আদিত্যনাথ। জন্মসূত্রে তিনি রাজপুত। জন্ম পার্বত্য উত্তরপ্রদেশের গাড়োয়াল এলাকায়। বর্তমানে তা উত্তরাখ-ে। ঐঘই গাড়োয়াল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক। তারপরেই সংসার ত্যাগ ও সন্ন্যাস গ্রহণ। প্রায় একইসঙ্গে রাজনীতিতে হাতেখড়ি। গেরুয়া বসন। তরুণ। তৎপর। রাজনীতিক ও সন্ন্যাসী আদিত্যনাথ শুরু থেকেই আকর্ষণের কেন্দ্রে। উত্তর প্রদেশের পূর্বাঞ্চলে প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা তিনি। ১৯৯৮ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে গোরক্ষপুর থেকে সাংসদ হন। পরপর ৫ বার গোরক্ষপুর কেন্দ্র থেকে সাংসদ হওয়ার রেকর্ডও তাঁর। সাংসদ ছাড়াও গোরক্ষনাথ মন্দিরের শীর্ষপদে বসে রয়েছেন আদিত্যনাথ । উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথকে মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করার পর অনেকেই বিজেপি বিরোধিতায় সরব হয়েছেন। গেল গেল রব তুলেছেন অনেকে। কেউ কেউ বলে ফেলছেন, এই সিদ্ধান্তে স্পষ্ট যে বিজেপি সাম্যের পথে নয়, হিন্দুত্ববাদের রাস্তায় হাঁটবে। এর ফলে রাজ্যে হিংসার পরিবেশ তৈরি হতে পারে। যদিও, এর উলটো পথে হেঁটে মসনদে বসেই প্রথম দিন যোগী ঘোষণা করেন, ‘আলাদা কোনও সম্প্রদায়কে খাটো করে দেখা নয়, আমাদের আমলে সব কা সাথ সব কা বিকাশ হবে।’ নয়া মুখ্যমন্ত্রীর এই স্বপ্নকে বাস্তব করতে এগিয়ে আসছেন সেরাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজনও। যোগী আদিত্যনাথের অযথা বিরোধিতা না করে, তাঁরা পাশে দাঁড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রীর। এমনকী, যোগীর বিরুদ্ধে ওঠা মুসলিম বিরোধিতার অভিযোগকেও এককথায় উড়িয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। বিজেপি-এর একটি সভায় যোগ দেন মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন। তাঁদের মধ্যে একজন মওলানা শোয়েব কাসমি। তিনি ইন্দোরের বাসিন্দা। প্রধানমন্ত্রী মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী যোগীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ তিনি। কাসমি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গত তিন বছর ধরে জাতপাত, ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করছেন। এজন্য দেশের সব সম্প্রদায়ের মানুষ বিজেপি-তে যোগদান করছেন। এখন দেশের অবস্থা বদলাচ্ছে। এরপর থেকে ধর্মের রাজনীতি হবে না, জাতপাতের রাজনীতি হবে না। শুধু উন্নয়নের রাজনীতি হবে। প্রধানমন্ত্রী সব মানুষের উন্নয়ন করছেন। তাই, উত্তরপ্রদেশে মুসলিম সম্প্রদায়ের একটা বড় অংশ বিজেপি-কে ভোট দিয়েছে। ধীরে ধীরে, মুলায়ম, মায়াবতী, কংগ্রেসের দোকান বন্ধ হয়ে যাবে। ওরা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে।’
যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে মুসলিম বিরোধিতার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মোদিজির নামে যেরকম মিথ্যা কথা রটানো হত, যোগীজির নামেও হয়। উনি মুসলিমবিরোধী নন। উনি আতঙ্কবাদের বিরোধী, জঙ্গিদের বিরোধী। আমরাও এর বিরোধী।
যারা দেশ ভাঙার চেষ্টা করে তাদের বিরোধিতা করেন যোগীজি। একজন সত্যিকারের মুসলমান আতঙ্কবাদীদের সঙ্গে থাকতে পারে না। উনি ঠিক করেন। দেশে থাকতে হলে মুসমানদেরও দেশের কথা ভাবতে হবে।’এ বিষয়ে লেখিকা তসলিমা নাছরিনের মত এই যে,আধ্যাতিকতার দেশে একজন যোগী মুখ্যমন্ত্রী হবে এটাই স্বাভাবিক,এতকাল যে হযনি এটাই অস্বাভাবিক।