কুমিল্লায় নির্বাচনের মধ্যদিয়ে গণতান্ত্রিক চর্চা পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠা করা হবে : সিইসি
সাইদ রিপন ও তারিকুল ইসলাম শিবলী, কুমিল্লা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মধ্যদিয়ে গণতান্ত্রিক চর্চা পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠা করা হবে। তাছাড়া কমিল্লা নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
গতকাল কুমিল্লায় জেলা শিল্পকলা মিলনায়তনে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ ও অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান।
নূরুল হুদা বলেন, আমি দুই বছর কুমিল্লায় জেলা প্রশাসক ছিলাম, কুমিল্লার মানুষের প্রতি আমার আস্থা আছে। আশা করি আসন্ন কুসিক নির্বাচন নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলবে না। তিনি বলেন, আমার আদেশ নির্বাচনে কারও প্রতি শৈথিল্য করা চলবে না। ভোটকেন্দ্রেও কোনো ব্যক্তি বা দলীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি অকারণে প্রবেশ করলে তাকে কঠোরভাবে দমন করতে হবে। ভোটকেন্দ্রে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার চেয়ে বড় প্রভাবশালী আর কেউ নেই। তার অধীনে থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। প্রয়োজন হলে কল করা মাত্র কয়েক মিনিটেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা কেন্দ্রে চলে আসবে।
তিনি আরও বলেন, পূর্বে কখনো কখনো গণতান্ত্রিক পরিবেশ ব্যাহত হয়েছে। তবে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মধ্যদিয়ে আমার এই গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চাই।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন, নির্বাচন কমিশনের সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মুখলেছুর রহমান। কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন, বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল গাজী মো. আহসানুজ্জামান, র্যাব-১১ এর সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোস্তফা কাইজার।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকতা রকিব উদ্দিন মন্ডলের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে এ সভায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রায় দেড় হাজার কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসার মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৯৮৭ জন এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা গতকাল দুপুরে গণসংযোগ করেন নগরীর কাপ্তান বাজার এলাকায়। এ সময় কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, গত শুক্রবার বিকেলে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণার পর গতকাল শনিবার সকাল থেকেই গণসংযোগে নামেন বিএনপি প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু। সকালে তিনি কালিয়াজুড়ি এলাকায় এবং দুপুরে রেসকোর্স এলাকায় গণসংযোগ করেন। এছাড়াও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলূল হক মিলন গণসংযোগ করেছেন নগরীর ঝাউতলা এলাকায়।
আগামী ৩০ মার্চ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১০৩টি কেন্দ্রে ৬২৮টি ভোট কক্ষে ভোট নেওয়া হবে। নির্বাচনে ৪ মেয়র প্রার্থীসহ মোট প্রার্থী রয়েছেন ১৫৮ জন ও ভোটার রয়েছে ২ লাখ ৭ হাজার ৫৬৬ জন।
মেয়র পদে ৪ জন লড়লেও বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু ও আওয়ামী লীগের আঞ্জুম সুলতানা সীমাকে নিয়েই আলোচনা বেশি রয়েছে। সম্পাদনা: রফিক আহমেদ