বিসিএসে পরিবর্তন আসছে ২৭টি ক্যাডার পদ দুই ভাগ করে পরীক্ষা নেওয়ার সুপারিশ
তরিকুল ইসলাম সুমন: বিসিএসের ২৭টি ক্যাডারের পরীক্ষা দুভাগে ভাগ করে নেওয়ার সুপারিশ করেছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। সকল ক্যাডার সার্ভিসকে ‘মূলধারা’ এবং ‘পেশাগত ও কারিগরি’ দুভাগে ভাগ করে আলাদা পরীক্ষা নেওয়া প্রয়োজন বলে করছে পিএসসি। এ বিষয়ে বেশকিছু প্রস্তাবও তৈরি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, বিসিএসের ২৭টি ক্যাডারের পরীক্ষা দুভাগে ভাগ করে নেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগ রয়েছে। তবে এখনো পিএসসির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো প্রস্তাব আসেনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। পিএসসি থেকে নতুন কোনো সুপারিশ এলে সেগুলো রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। তিনি অনুমোদন দিলে পরবর্তীতে তা সংসদ অধিবেশনেও উপস্থাপন করা হবে।
পিএসসি সূত্র জানায়, ২৭টি ক্যাডারের মধ্যে শিক্ষায় ৭৭টি সাব-ক্যাডার আছে। বিদ্যমান পরীক্ষা পদ্ধতিতে সব ক্যাডারের জন্য একই প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। সিভিল সার্ভিসে ‘মেইন স্ট্রিম’ (মূলধারা) ক্যাডারের প্রার্থীর ক্ষেত্রে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করতে হয়। কিন্তু প্রভাষকের (রসায়ন) সবকিছু ঠিক থাকলে তার এত কিছু পর্যবেক্ষণের কিছু নেই। তাই মূলধারার ক্যাডার সার্ভিসের জন্য যেভাবে পরীক্ষা নেওয়া হয়, তা অন্য ক্যাডার এবং পেশাগত ও কারিগরি ক্যাডারের জন্য পৃথকভাবে নেওয়া প্রয়োজন। মূল ক্যাডার সার্ভিস হিসেবে প্রশাসন, পুলিশ, ট্যাক্স, অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস এবং অন্যান্য ক্যাডার সার্ভিস বলতে শিক্ষা, পোস্টাল ও আনসারের কিছু পোস্ট রয়েছে।
বিসিএসে মেধা তালিকা থেকে ৪৫ শতাংশ নিয়োগ হয়। বাকি ৫৫ শতাংশ কোটায় পূরণ হয়ে থাকে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার পোষ্য (ছেলেমেয়ে ও নাতি-নাতনি) ৩০, মহিলা ১০, জেলা ১০ ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ৫। এছাড়া এসব কোটা পূরণ না হলে সেখানে ১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রতিবন্ধীর জন্য। সম্পাদনা: আনিসুর রহমান তপন