আমি শুধু আমার কৃতজ্ঞতার কথা লিখে রেখে গেলাম
আশীফ এন্তাজ রবি
তারা ক্রিকেটার নন। ম্যান অব দ্য ম্যাচ হবার কপাল নিয়ে জন্মাননি তারা। তবু, সিলেটের ওই বাসায়, আটকে পড়া সেই পঙ্গু বাবাকে তারাই উদ্ধার করে নিয়ে আসলো। আর সেই কাজ করতে গিয়ে তারা প্রাণ দিল। না, গ্যালারিতে বসে আমরা হাততালি দিইনি। কাজ শেষ হবার পর, কোনো স্টেজে ডেকে নিয়ে তাদের হাতে ম্যান অব দ্য ম্যাচের মোটা অংকের চেক ধরিয়ে দেবার মতো কেউ ছিল না। তারা হাসপাতালে আছেন। দগ্ধ শরীরের বর্ণনাতীত কষ্ট নিয়ে তারা তিলে তিলে মরে গেছেন। কালকের পত্রিকায় তাদের উপর কোনো ফিচার লেখা হবে না। তারা কি খান, কোন রঙ তাদের প্রিয়, তার স্ত্রী কোন রান্নাটা ভালো করেন, এটা নিয়ে কেউ মাথা ঘামাবে না। কোনো মোবাইল ফোন কোম্পানি তাদের মডেল বানানোর জন্য পেছন পেছন ঘুরবে না। তবু, তারা না থাকলে সকালটা আজ মিষ্টি হতো না।
সিলেটের সেই বাসা থেকে যে ৭০ জন বাসিন্দা নিরাপদে ফিরে এসেছেন, আজকের এই সকালে তারা যে হাসছেন, কাঁদছেন, চায়ের কাপে চুমুক দিচ্ছেন, কাদের প্রাণের বিনিময়ে? না ভাই, তাদের নাম আমি নিজেও জানি না। বাংলাদেশের কিছু মানুষ হত্যার খেলায় নেমেছেন। বিপরীতে, কিছু মানুষ নিজের জীবন দিয়ে দিচ্ছেন, অন্যদের প্রাণ বাঁচাতে। সেইসব প্রকৃত ম্যান অব দ্য ম্যাচদের শ্রদ্ধা।
ইতিহাস তোমাদের ভুলে যাবে, এটা নিশ্চিত। আমি শুধু আমার কৃতজ্ঞতার কথা লিখে রেখে গেলাম। পুলিশের প্রশংসা করলে জাত থাকে না। তবু করলাম। আর্মির প্রশংসা করলে সবাই ছি ছি করবে, তবু করলাম এবং জানিয়ে রাখি, জাত এবং ছি ছি আমি তোয়াক্কা করি না। পিরিয়ড
লেখক: সাংবাদিক ও উপস্থাপক/ফেসবুক থেকে