অবশেষে বদলি হলেন পদ্মা অয়েল কোম্পানির এমডি আবুল খায়ের
মো. শহিদুল ইসলাম,চট্টগ্রাম: একই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ সাত বছর থাকার পর অবশেষে বদলি হলেন পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.আবুল খায়ের। তবে তাকে একই পদে যমুনা অয়েল কোম্পানি লিমেটেডে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আর পদ্মা অয়েলের নতুন এমডির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যমুনা অয়েল কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো.মাসুদুর রহমানকে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন থেকে এই সংক্রন্তা একটি চিঠি ২০ মার্চ পদ্মা অয়েলের এমডি মো.আবুল খায়ের এবং যমুনা অয়েলের এমডি মো.মাসুদুর রহমানের কাছে পাঠানো হয় বলে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পরিচালক (অর্থ) শংকর প্রসাদ দেব স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে- জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো, যা অনতিবিলম্বে কার্যকর করা হবে। পাবলিক করপোরেশন্স (ম্যানেজম্যান্ট কো-অর্ডিনেশন) অধ্যাদেশ ১৯৮৬ (অর্ডিন্যান্স নং-৮৬) এর ১৩ নম্বর ধারায় অর্পিত ক্ষমতা বলে এই আদেশ জারি করা হয়।
ওই সূত্র আরো জানায়, ২০১০ সাল থেকে পদ্মা অয়েলে এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আছেন আবুল খায়ের। এই দীর্ঘ সময় ধরে পদ্মার এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে। অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে তার বিরুদ্ধে নগরীর সদরঘাট থানায় তিনটি মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলা নম্বর ১৫, ১৬ ও ১৭। তিনটি মামলায় তদন্তে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। তবে অভিযোগ রয়েছে বিপিসির একটি চক্রটিকে ম্যানেজ করে তার বিরুদ্ধে উঠা দুর্নীতির অভিযোগ ঢাকা রাখতে চেষ্ঠা করেন। পাশাপাশি ওই চক্রটিকে ব্যবহার করে দীর্ঘদিন ধরে একই প্রতিষ্ঠানে একই পদে বহাল থাকেন আবুল খায়ের। পদ্মা অয়েলে কোম্পানি লিমিটেড’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এমডি আবুল খায়ের তার অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্যে না দিতে বিভিন্নভাবে তদবিরের মাধ্যমে একই পদে প্রায় ৭ বছর দায়িত্ব পালন করেন। এদিকে ২০ মার্চ তার বদলির আদেশ আসার পর আগের কর্মস্থলে বহাল থাকতে নতুন করে তদবির শুরু করেন তিনি। আদেশ হাতে পাওয়ার একদিন পরই তিনি ঢাকায় চলে যান বলে ওই সূত্র জানিছেন। ওই সূত্র জানান, আবুল খায়ের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে তেল বিক্রি, নিয়োগ বাণিজ্য, পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়া এবং কিছু সিবিএ নেতাকে বশে রেখে নানা অনিয়ম কর্মকান্ড পরিচালনা করার অভিযোগ উঠে। তার অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় অনেক কর্মকর্তা রোষাণলে পড়ে হয়রানি হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পদ্মা অয়েল কোম্পানি সূত্রে জানাগেছে, আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। প্রধামন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক আবুল কালাম শামসুদ্দিন ২০১৫ সালের ২৮ জুন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পাদ ।