শিশুদের প্রতি ভালোবাসা
হাফসা ইসলাম
বনশ্রী থেকে পায়ে হেঁটে হাতিরঝিলের দিকে যাচ্ছি। হঠাৎ কানে একটা কান্নার শব্দ ভেসে এলো। তাকিয়ে দেখি একজন ভদ্রলোক ফুটপাতে পড়ে থাকা একটা বাচ্চাকে লাত্থি মারছে। বাচ্চাটির অপরাধ হলো, সে লোকটির পায়ে পড়ে টাকা চেয়েছে। এ ধরনের আচরণ সুশীল সমাজের জন্য কখনোই কাম্য নয়। রাস্তার পাশে ফুটপাতে পড়ে থাকা মানুষগুলোর প্রতি ঘৃণাভরে তাকানো অনুচিত। ফুটপাতে থাকে বলে ওরা অমানুষ নয়। পারলে সাহায্য করে ওদের পাশে দাঁড়ানো চাই। নইলে এড়িয়ে চলা উচিত। কিন্তু কোনো অমানবিক আচরণ আদৌ ইসলাম সমর্থন করে না। সৃষ্টির প্রতি অনুগ্রহ অনুগ্রহশীল ব্যক্তির প্রতি স্বভাবতই মানুষের হৃদয়ে ভালোবাসা জন্ম নেয়। প্রবাদ আছে, ‘মানুষ অনুগ্রহের দাস।’
এই বাস্তবতাকে কেউ অস্বীকার করতে পারে না। প্রিয় নবী (সা.) সবসময় গরিবের প্রতি দয়া করতেন। নবুওয়তপ্রাপ্তির আগ থেকেই রাসুল (সা.) সমাজের অসহায়, অনাথ এবং দুখী মানুষের সেবা করতেন। নিজে উপার্জন করে অভাবী, অনাহারি মানুষের মুখে খাবার তুলে দিতেন। বিপদগ্রস্থদের পাশে দাঁড়াতেন। নিজের কাছে টাকা-পয়সা না থাকলে ঋণ করে হলেও মানুষকে দান-খায়রাত করতেন। এগুলো হচ্ছে তাঁর জাগতিক সাহায্য-সহযোগিতার নমুনা। এই পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতায়ালার পর মানবজাতির ওপর সবচেয়ে বেশি অনুগ্রহকারী ছিলেন তিনিই। তাঁর অস্তিত্বই মানবতার জন্য রহমত। আল্লাহ তায়ালা তাকে বিশ্ববাসীর জন্য করুণার আধার বানিয়ে পাঠিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘আমি আপনাকে জগতবাসীর জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া : ১০৭)।