নাসিরপুরে সব জঙ্গি নিহত, অপারেশন ‘হিটব্যাক’ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে : মনিরুল ইসলাম
আজাদ হোসেন সুমন: মৌলভীবাজারের নাসিরপুরে জঙ্গি আস্তানায় সোয়াত পরিচালিত অপারেশন হিটব্যাক সফল হয়েছে। সেখানে জঙ্গিদের সাত থেকে আটটি মৃতদেহ আছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। নিহত জঙ্গিদের শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়ায় তাদের সঠিক সংখ্যা এখনই বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন, পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিররুল ইসলাম। ওই জঙ্গি আস্তানায় অভিযান পরিচালনা শেষে গত বৃহস্পতিবার বিকালে সিটিটিসি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ২ দিন চেষ্টার পর গতকাল বিকেলে জঙ্গি আস্তানয় ঢুকে সোয়াত টিম। তারা ঢুকেই দেখতে পায় অনেক মানব দেহের ছিন্নভিন্ন অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পায় তারা। ধারনা করা হচ্ছে গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আস্তানায় থাকা জঙ্গিরা আত্মহত্যা করে। সেগুলো থেকে দুর্গন্ধ বেরুচ্ছিল। জঙ্গি ্আস্তানার প্রবেশমুখে গ্রেনেডসহ শক্তিশালী বোমা ছড়ানো-ছিটানো ছিল। কাউন্টার টেররিজমের বোম্ব ডিজপোজাল ইউনিট সেগুলো ইতিমধ্যে নিস্ক্রিয় করেছে। জঙ্গিরা কখন বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মারা গিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, গতকাল (বুধবার) সোয়াট প্রথম অভিযান শুরু করে। অভিযান শুরুর পর পালানোর পথ না থাকায় সম্ভবত জঙ্গিরা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সপরিবারে আত্মহনন করেছে।
মনিরুল বলেন, মৌলভীবাজারের নাসিরপুরের জঙ্গি আস্তানায় ড্রোন ব্যবহার করে আইইডি ও অন্যান্য বিস্ফোরক শনাক্ত করেন সোয়াট টিমের সদস্যরা। ব্রিফিংয়ের শুরুতে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি কামরুল আহসান বলেন, মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে বাড়ি দু’টি ঘেরাও করে। ঘেরাওয়ের পর ভেতর থেকে জঙ্গিরা গ্রেনেড বিস্ফোরণের মাধ্যমে তাদের উপস্থিতি জানান দেয়। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিটিটিসির সোয়াট টিম সবচেয়ে উপযুক্ত।
উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি নিজেও সেখানে গিয়েছিলাম নারী মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেছি। তারা ছাড়া কয়েকটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দেখে মনে হয় সেখানে ছোট ছেলে মেয়ের মৃতদেহ থাকতে পারে। সম্পাদনা: এনামুল হক