গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদন চীনের সিল্ক রোড প্রকল্পকে ভারত ভূ-রাজনীতি হিসেবেই দেখছে
ইমরুল শাহেদ: সিল্ক রোড নিয়ে চীনা পদক্ষেপকে ভারত ভূ-রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা হিসেবেই দেখছে এবং এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করার জন্য অমূলক একটা অজুহাত হিসেবে কাশ্মীর ইস্যুকে উপস্থাপন করছে। চীনা গণমাধ্যম এই অভিযোগ করে দিল্লিকে এ ধরনের সস্তা মানসিকতা পরিত্যাগের আহ্বান জানিয়েছে।
রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গ্লোবাল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিল্ক রোড পদক্ষেপে যোগ দিতে ভারতের প্রত্যাখানের মূল কারণ হচ্ছে, এই রোডটি কাশ্মীরের ভিতর দিয়েই যাবে। যাহোক এটা একটা অমূলক কারণ। কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে চীন একটি সঙ্গতিপূর্ণ অবস্থানেই রয়েছে। সেটা কখনো পরিবর্তনশীল নয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড (বিআর) পদক্ষেপকে ভারত দেখছে ভূ-রাজনীতি হিসেবে।’ চীনের দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করার জন্য প্রতিবেদনে ভারতকে কটাক্ষ করা হয়েছে। কয়েক বিলিয়ন ডলারের সিল্ক রোড প্রকল্পটি বিশ্বের কাছে বিআর নামেও পরিচিত। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত বিআর-এ যোগ দেবে, না সেটা বয়কট করবে, তা নিয়ে ধাঁধার মধ্যে আছে। এক্ষেত্রে কেবল ভারতই পারে নিজেকে সহায়তা করতে। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিআর পদক্ষেপের বিষয়ে ভারতকে পক্ষপাতদুষ্ট মনোভাব ত্যাগ করতে হবে। গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সব কিছুকে ভূ-রাজনীতির সঙ্গে গুলিয়ে ফেলার মতো সস্তা মানসিকতা ত্যাগের জন্য এখনই উপযুক্ত সময়। যদি ভারত এই মনোভাব ত্যাগ করতে পারে তাহলে ভারত নিশ্চিতভাবেই একটা নতুন বিশ্বকে দেখতে পাবে। চীনা প্রেসিডেন্ট শী জিনপিংয়ের আহ্বানে বিআর সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার মনোভাব ভারতের জন্য একটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতিও হতে পারে। কারণ এই সম্মেলনের প্রতি সীমান্তবর্তী দেশ রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কাজাকস্তান ও পাকিস্তানের জোরালো সমর্থন রয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ওয়াং ইয়াই সম্প্রতি বলেছেন, সারা বিশ্বের ২০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠালোর ৫০ জন নেতা, শতাধিক মন্ত্রী এবং ১২শ’ অতিথি এই সম্মেলনে যোগ দেবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব জে জয়শংকর চীন সফরের সময় বলেছেন, তারা চীনের নিমন্ত্রণের বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখছেন। ‘যে দেশের সার্বভৌমত্ব লংঘিত হয়েছে তারা কিভাবে এই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করতে পারে।’
ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়, চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত এই গণমাধ্যমটি ভারতকে সম্মেলনে যোগ দেওয়াতে প্রচারণা শুরু করেছে। তবে চীন ধরেই নিয়েছে, ভারত এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবে না। প্রকল্পটি সফল করে তোলার জন্য বেইজিং ও ইসলামাবাদ তাদের সর্বশক্তি নিয়োগ করছে। চীন পাকিস্তান ইকোনোমিক করিডোরে বিনিয়োগ হচ্ছে ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, সম্পাদনা: রফিক আহমেদ