পূর্বধলায় প্রবল বর্ষণে ২ হাজার একর জমির বোরো ফসলপানির নিচে
জুলফিকার আলী শাহীন, পূর্বধলা (নেত্রকোনা): গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের প্রায় ২হাজার একর জমির বোরো ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। দামপাড়া পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের বাাঁধে খাটুরিয়ারী এলাকায় রাজাখালী স্লুইসগেইটটি বন্ধ করে দেওয়ায় পানি আটকে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গত তিনদিনের প্রবল বর্ষণে উপজেলার জারিয়া, ঘাগড়া, হোগলা, বিশকাকুনী ও আগিয়া ইউনিয়নের নি¤œাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এতে উপজেলার হোগলা ইউনিয়নের আতলাবিল, পদ্মাই বিল, জারিয়া ইউনিয়নের পাখলা বিল, বেতাবিল, মাঞ্জা বিল, ঘাগড়া ইউনিয়নের ডুবাবিল, বোয়ালীয়াকান্দা, পানিশানা বিল, বাউরবিল, বিশকাকুনী ইউনিয়নের হলদিয়া ও ধলাচাপড়াবিলসহ বিভিন্ন এলাকার বোরো ফসল পানির নিচে তলিয়ে যায়। তবে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় আরো জমির ফসল পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বিরাজ করছে।কৃষকরা জানান, ইতোমধ্যে এসব এলাকার প্রায় ২০০০ একর জমির বোরো ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে স্থানীয় কৃষি অফিস জানিয়েছে, তলিয়ে যাওয়া জমির পরিমাণ ৪শ একরের মত হতে পারে। উপজেলার হোগলা ইউনিয়নের চিলাইগাতি গ্রামের কৃষক মিয়া হোসেনের ৫০ কাঠা (৮শতকে ১কাঠা), হরমুজ আলীর ৫০ কাঠা, শিবপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের ৪৫ কাঠা, ইসলাম উদ্দিনের ৪০ কাঠা, ঘাগড়া ইউনিয়নের সানকিডুয়ারি গ্রামের হাবিবুল ইসলামের ৪০ কাঠা, ইউপি সদস্য হিরু মিয়ার ৪০ কাঠা জমির বোরো ফসল তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন।জানা গেছে দামপাড়া পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের বাঁধের উপর খাটুরিয়ারী এলাকায় রাজাখালী স্লুইসগেইটটি ২০১৫ সালে প্রবল বন্যায় ভেঙ্গে যায়। পরে সেখানে সøুইসগেইট নির্মাণ না করে স্থায়ী বাধঁ দেওয়া হয়। এ ছাড়া স্থানীয় নদী ও খাল-বিল ভরাট হয়ে যাওয়া অধিক নি¤œাঞ্চল গুলোতেও বোরো আবাদ করা হয়। ফলে পানি নিস্কাশন হতে না পারায় জলবদ্ধতা দেখা দেয়।পূর্বধলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রেজুয়ানুল বারী বলেন, উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ১৫০ হেক্টর জমির বোরো ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে আর বৃষ্টি না হলে ক্ষতির পরিমাণ ১০ হেক্টরে নেমে আসবে।বৃহস্পতিবার পূর্বধলা উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নমিতা দে, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রেজুয়ানুল বারী, নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান