রাষ্ট্রায়ত্ত বিডিবিএল এর কৃষিঋণ বিতরণ তলানীতে
জাফর আহমদ: রাষ্ট্রায়ত্ত বিডিবিএল ব্যাংকের কৃষিঋণ বিতরণ তলানীতে ঠেকেছে। ব্যাংকটি আট মাসে বিতরণ করেছে মাত্র ৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৬ দশমিক ৮২ শতাংশ। তবে রাষ্ট্রায়ত্ত সকল ব্যাংকের বিততণকৃত ঋণের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী রাষ্ট্রায়ত্ত সকল ব্যাংকের চলতি বছরের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৯ হাজার ২৯০ কোটি টাকা। এরমধ্যে বিডিবিএল এর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫০ কোটি টাকা। জুলাই-ফেব্রুয়ারি আট মাসে ব্যাংকটি বিতরণ করেছে মাত্র ৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৬ দশমিক ৮২ শতাংশ। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মোট ঋণ বিতরণের ৭০ শতাংশ। অন্যদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক বিতরণ করেছে ১১০ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং রূপালী ব্যাংক বিতরণ করেছে ১৪৬ শতাংশ। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বিতরণ করেছে লক্ষ্যমাত্রার ৫০ দশমিক ৯৯ শতাংশ। দেশে কর্মরত বিদেশি ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান আলোচ্য সময়ে কোনো কৃষিঋণ বিতরণ করেনি। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে কৃষিঋণ বিতরণে পিছিয়ে আছে এক্সিম ব্যাংক। ব্যাংকটি বিতরণ করেছে লক্ষ্যমাত্রার ৫০ দশমিক ৮৪ শতাংশ। মধুমতি ব্যাংক বিতরণ করেছে লক্ষ্যমাত্রার ১০ শতাংশ, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক বিতরণ করেছে ১৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ; ইউনিয়ন ব্যাংক বিতরণ করেছে লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ১২ শতাংশ। তবে ২৩৬ শতাংশ বিতরণ করে মিডল্যান্ড ব্যাংক, আইএফআইসি ১৪৮ শতাংশ, ওয়ান ব্যাংক ১১২ শতাংশ, শাহজালাল ব্যাংক ২৫৮ শতাংশ এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ১২৯ শতাংশ কৃষিঋণ বিতরণ করে এগিয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রত্যেক বাণিজ্যিক ব্যাংককে তার মোট বিতরণকৃত ঋণের ২ শতাংশ কৃষিঋণ হিসাবে বিতরণ করতে হবে। এ হিসাবে চলতি অর্থবছরে কৃষিঋণ বিতরণ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ১৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। গত বছর এ পরিমাণ ছিল ১৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। তথ্য অনুযায়ী কোনো ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কৃষিঋণ বিতরণে ব্যর্থ হলে সেই ব্যাংকের বিরুদ্ধে শািস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে অনর্জিত সমপরিমাণ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে কারেন্ট একাউন্ট থেকে কেটে রাখা হবে। গত কয়েক বছর ধরে এ ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে ব্যাংলাদেশ ব্যাংক। দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও গ্রামে অর্থ সরবরাহে সরকারের কৌশলের সাথে সংগতি রেখে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান এ নির্দেশনা জারি করে। এরপর থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো পল্লী অঞ্চলে প্রতিবছর ১৫ হাজার কোটি কৃষিঋণ বিতরণ করছে। সম্পাদনা: এনামুল হক