একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত হয়েছে
ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ
জানিপপ-এর পক্ষ থেকে আমরা কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচন পরবর্তী যে পরিস্থিতি তা আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি। আমরা মনে করি, বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়ে যে কথাবার্তা উঠেছিল, যে সব অভিযোগ উঠেছিল জনমনের ধারণা তারা পাল্টাতে পেরেছেন। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে তারা উত্তীর্ণ হয়েছেন। তারা একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন উপহার দিয়েছে। আমরা দেখেছি, নির্বাচনের দিনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিল পর্যাপ্ত। এবং চোখে পড়ার মতো। যেখানে ব্যত্যয় ঘটেছে সেখানে কমিশন অ্যাকশনে গেছে। তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে দুটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত বুথের ব্যবস্থা করেছে। কোটবাড়ী এলাকায় জঙ্গি অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার পরেও তা খুব একটা নির্বাচনি পরিবেশকে প্রভাবিত করতে পারেনি। নির্বাচন কমিশনের সমোচিত সিদ্ধান্ত এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্ক অবস্থানের কারণে। নির্বাচনের দিনে বৃষ্টির কারণে একটা আশঙ্কা ছিল যে, ভোট কম হয় কি না। কিন্তু ৬৪ ভাগ মানুষ ভোট প্রদান করেছে। তার মধ্যে দিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পরাজয়ের সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে তাদের একটি উপদলীয় কোন্দল। বাহার এবং আফজাল সাহেবকে ঘিরে যে উপদল তৈরি হয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগে, সেটা হয়তো প্রভাব বিস্তার করেছে ফলাফলে।
আর এর পাশাপাশি সাক্কু সাহেব যথেষ্ট তৎপর ছিলেন। তিনি যদিও সদ্য বিদায়ী মেয়র ছিলেন। কিন্তু সেটা তাকে প্রভাবিত করতে পারেনি। সামগ্রিকভাবে সাক্কুর নেতাকর্মীরা ছিল সংগঠিত। তারা জোর দিয়েছিল মূলত নেতাকর্মীদের উপর।
শাসকদলের পক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা নেত্রীবৃন্দ ছিলেন প্রচারভিজানে। কিন্তু তাদের তো ওই এলাকায় ভোট অধিকার ছিল না। যাদের ভোট অধিকার আছে তারা আসলে স্থানীয় নেতাকর্মীদের দ্বারা তারাই বেশি প্রভাবিত হয়েছে।
পরিচিতি: চেয়ারম্যান, জানিপপ
মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ/সম্পাদনা: আশিক রহমান