হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী পালাগান
আশরাফুল নয়ন,নওগাঁ : গ্রামবাংলায় এক সময় পালাগান ছিল উৎসবের একটি অংশ। গ্রামে গ্রামে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পালাগান ছিল বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম । এক সময় কোন গ্রামে যখন পালাগানের আসর বসত সেই পালাগানকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামে শুরু হতো উৎসব । সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় ভোররাত পর্যন্ত চলত পালাগানের আসর । ছেলে-মেয়ে উভয়ে মাটিতে মাদুর অথবা খড় বিছিয়ে বসে উপভোগ করত সেই পালাগান । বহুদিন পর এমন একটি পালাগানের আয়োজন করা হয় নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বসনই গ্রামে। মজনু মিয়া নামে এক ব্যক্তি এ পালাগানের আয়োজন করে ।
পালাগান শুনতে আসা পাতরাবাড়ি গ্রামের আমিরুল ইসলাম বলেন, বহুদিন পর এমন একটি আয়োজন শুনে দেখতে এলাম । পালা দেখতে আসা তছিরন,নাছিমা,নার্গিস বলেন, ঘরে ঘরে ডিসের লাইনের কারনে এখন আর পালাগান হয়না । অনেক দিন পর পালাগান খুবই ভাল লাগছে । এমন আয়োজন মাঝে মাঝে হওয়া উচিৎ ।চকনরেসিং গ্রাম হতে আসা তারিকুল ,কাত্তিকাহার গ্রামের বিপ্লব,মতিউর, কোমারপুর গ্রামের রুবেল ,অবিনাশ,পুখুরিয়া গ্রামের শামিম হোসেনসহ বেশ কয়েক জনের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন,অনেক দিন পর পালাগানের কথা শুনে আসলাম । মাঝেমধ্যে এরকম আয়োজন হলে খুব ভাল লাগবে । বদলগাছীর ছনের ঘর হতদরিদ্র সমবায় সমিতি এই পালাগান দলটি পরিচালনা করে । সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কিয়ামত আলী জানান, এ সমিতির ২০ জন সদস্য আছে । তারা যাত্রাপালা,নাটক,পথনাটক, ছন,আলকাত,কবিগান,কিচ্চা কাহিনি,জারিগান ও পালাগানসহ বিভিন্ন রকমের গান করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে । এ দলটি নওগাঁ জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ জয়পুরহাটে । সম্পাদনা : মুরাদ হাসান