একটি সম্ভাব্য দুর্নীতি!
গোলাম মোর্তোজা
কত কম সুযোগ-সুবিধায়, সাশ্রয়ী মূল্যে সক্ষমতার চেয়ে কয়েকগুন বেশি মানুষকে সেবা দেওয়ার অনন্য প্রতিষ্ঠান ‘জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট’। সরকারি হাসপাতাল নিয়ে এত সমালোচনা, কিন্তু হৃদরোগ ইনস্টিটিউট যে কী অসাধারণ কাজ করছেÑ তা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। বিশেষায়িত এই হাসপাতালটির জন্য একটি কার্ডিয়াক এমআরআই হাই স্পেসিফিকেশন’র ফার্স্ট মেশিন দরকার। কেনার জন্যে বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১১ কোটি টাকা। মেশিনটির দাম ৯ থেকে ১০ কোটি টাকা।
এর মধ্যে স্বাস্থ্যখাতের কেনাকাটার ভয়ঙ্কর চক্রটি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা তুলনামূলকভাবে নিম্নমানের একটি মেশিন কেনার প্রক্রিয়া নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। যে মেশিন আড়াই বা তিন কোটি টাকা দিয়ে কিনে, ৯ বা ১০ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হবে! অবাক হওয়ার কিছু নেই। ইতোপূর্বে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ক্ষেত্রে প্রায় হুবহু এমন ঘটনা ঘটেছে। যন্ত্রপাতি কেনাকাটার নজিরবিহীন অনিয়ম ঢাকা মেডিকেলসহ সর্বত্র নিয়মে পরিণত হয়েছে। সাংবাদিক ইধফৎঁফফড়ুধ ইধনঁঁ অনেকগুলো রিপোর্ট করেছেন মাছরাঙা টেলিভিশনে। এই অনিয়মগুলো সাধারণত জানা যায়, কেনা হয়ে যাওয়ার পর।
এবার জানলাম আগে, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের সূত্রে। খোঁজ নিয়ে সত্যতাও মিলল। গত ২৯ মার্চের মিটিংয়ে কিছু বিরোধিতার কারণে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। অল্প সময়ের মধ্যে নিম্নমানের মেশিন, বেশি দামে কেনার প্রক্রিয়া গুছিয়ে ফেলা হবেÑ কাজ সেভাবেই চলছে।
লেখক: সম্পাদক, সাপ্তাহিক/ফেসবুক থেকে