আসলে ঘটনা কী?
আনু মুহাম্মদ
বিভিন্ন বাহারী নাম আর বিপুল আয়োজনে ‘জঙ্গিদমন’ অভিযান চলছে। বহু ঘণ্টার একটি ‘সফল অভিযানের’ ফলাফল হিসেবে জানানো হলো সাতজন ‘জঙ্গি’ নিজেদের ‘আত্মঘাতী বোমায়’ নিহত, পরে জানা গেল সাতজনের চারজনই শিশু, দুজন বয়ষ্ক মহিলা, একজন পুরুষ! ময়নাতদন্ত অনুযায়ী, তারা নিহত হয়েছে অভিযানের শুরুর দিকেই। তারপরও বহু ঘণ্টা চলেছে গুলি ইত্যাদি! আসলে ঘটনা কী? প্রশ্নের জবাব মেলার বদলে আরও বাড়ছেই কেবল। র্যাবের গোয়েন্দা প্রধান কীভাবে নিহত হলেন? এ রকম একজন বড় কর্মকর্তার কাছে যে কেউ পৌঁছে যেতে পারল কিংবা বোমা রাখল কীভাবে?
গত তিনমাসে ৪৪ জন ‘ক্রসফায়ারে’ অর্থাৎ পুলিশ বা র্যাবের হেফাজতে খুন হয়েছে, কেন? র্যাব ডিবি পরিচয়ে যাদের বাড়ি বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তারাই পরে জঙ্গি বা সন্ত্রাসী হিসেবে আটক হচ্ছে আবার ক্রসফায়ারেই নিহত হচ্ছে, কীভাবে? তদন্ত, সত্য অনুসন্ধান এবং প্রকৃত অপরাধীদের বিচারে সরকারের এত অনাগ্রহ কেন? এসব প্রশ্নের উত্তর মিডিয়ার অনুসন্ধানেই পাওয়া যেত হয়তো। কিন্তু মিডিয়া এখন প্রধানত সরকারি প্রেসনোট আর মন্ত্রীসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তার ভাষ্য প্রকাশের মাধ্যম। সেটাতেও আরও ঘোলা হচ্ছে সব, কেননা সরকারেরই একেকজনের বক্তব্য একেকরকম।
লেখক: অর্থনীতিবিদ/ফেসবুক থেকে