চিকিৎসক সংকটে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল
আব্দুম মুনিব, কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক সংকটে সেবা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। চিকিৎসক না থাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগান্তিতে আছে কুষ্টিয়াসহ পার্শ্ববর্তী চার জেলার মানুষ।হাসপাতালটিতে ৫৮ পদের বিপরীতে আছেন মাত্র ৪৬ জন চিকিৎসক। বর্তমানে হাসপাতালটিতে যে রোগীর চাপ তাতে এই অল্প সংখ্যক চিকিৎসক নিয়ে সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বছর খানেক আগে চিকিৎসা সেবায় খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে সেরা এবং সারাদেশে দ্বিতীয় হওয়ার গৌরব অর্জন করলেও বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসা সেবার মান নিয়ে রোগীদের অভিযোগের অন্ত নেই।
১৯৬৩ সালে স্থাপিত এ হাসপাতালের শুরুতে শয্যা সংখ্যা ছিল ১৫০। ২০০৫ সালে ২৫০ শয্যার কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। ২০১১ সালে কুষ্টিয়া মেডিকেল স্কুলে (ম্যাটস) কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ চালুর দুই বছর পর কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালকে অস্থায়ী ভিত্তিতে মেডিকেল কলেজ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। ফলে এখন শুধু কুষ্টিয়া নয় আশপাশের জেলা ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, চুয়াডাঙা ও রাজবাড়ী জেলার মানুষ উন্নত চিকিৎসার জন্য আসে এ হাসপাতালে। কিন্তু সে অনুসারে বাড়েনি লোকবল, বাজেট, আর সেবার মান। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, জনবল কাঠামো অনুযায়ী হাসপাতালে সব মিলিয়ে ৫৮ জন চিকিৎসক থাকার কথা। সেখানে আছে মাত্র ৪৬ জন। এছাড়া সেবিকা ও বিভিন্ন বিভাগের টেকনোলজিস্টসহ অন্যান্য পদেও লোকবল নেই।
আরএমও আরও জানান, হাসপাতাল ২৫০ শয্যার হলেও প্রতিনিয়ত এখানে ৫শ থেকে সাড়ে ৫শ রোগী ভর্তি থাকে। এছাড়া প্রতিদিন বহির্বিভাগে আগত প্রায় ১ হাজার ৫০০ রোগীর সেবা দিতে অন্তত ১৫ জন চিকিৎসকের প্রয়োজন থাকলেও তা সামলাতে হচ্ছে ৫ জন চিকিৎসককে দিয়ে। জরুরি বিভাগের ৪টি পদ থাকলেও পদ শূন্যতায় মাত্র দুইজন চিকিৎসককে দিয়ে কাজ চালাতে হয়। সিনিয়র কনসালট্যান্ট ১০ জনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ মেডিসিন, চোখ ও অর্থপেডিক্স পদ শূণ্য। আরাই বছর ধরে নেই অ্যানেসথেসিয়া কনসালট্যান্ট। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান