কলম্বিয়ায় শহর প্লাবিত হয়ে নিহত ২৫৪
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রবল বৃষ্টিপাতে কলম্বিয়ার পুতুমায়ো প্রদেশের নদীর পানি উপচে মোকোয়া শহর প্লাবিত হয়ে শনিবার ভোরের দিকে বহু ঘরবাড়ি মাটির নিচে চাপা পড়ে। কলম্বিয়ার ২০০ বছরের ইতিহাসে এ ঘটনাকে সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয় বলে মনে করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ওই ঘটনায় ২৫৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। তাছাড়া দুই শতাধিক মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজদের জীবিত অবস্থায় উদ্ধারকে প্রাধান্য দিয়ে এখন তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।
তিনটি নদী থেকে ছুটে আসা বন্যার পানিতে থাকা পলিমাটি, পাথর আর কাঠের তক্তায় ঢেকে গেছে পুরো এলাকা। আর তার নিচে চাপা পড়েছেন শত শত মানুষ। উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক মরদেহ। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় শনিবার রাতে আলোক স্বল্পতা দেখা দেয়। আর তাতে উদ্ধার তৎপরতা স্থগিত করতে বাধ্য হন উদ্ধারকারীরা। রবিবার দিনের আলো ফোাঁর সঙ্গে সঙ্গে আবারও শুরু হয় অভিযান। সূত্র: বিডিনিউজ
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় ১,১০০ সেনা ও পুলিশ ওই উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়েছে। উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোকে একটি অস্থায়ী মর্গে স্থানান্তর করা হচ্ছে। মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, মরদেহগুলো শনাক্ত করতে তিনটি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে। মেডিক্যাল টিমকে নেতৃত্ব প্রদানকারী সংস্থা ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব লিগ্যাল মেডিসিন এন্ড ফরেনসিক সায়েন্স-এর পরিচালক কার্লোস ভালদেস বলেছেন, ‘তারা দিনে ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে যাচ্ছেন।’
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানায়, মোকোয়া শহরটিতে ৩ লাখ ৪৫ হাজার মানুষের বসবাস। ইতোমধ্যেই দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস। তিনি ওই এলাকায় জরুরি অবস্থাও ঘোষণা করেছেন। শহরটির গভর্নর সরেল আরোকা কলম্বিয়ার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আশেপাশের সব এলাকা মাটিতে চাপা পড়ে গেছে। শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণে এবং রাস্তাঘাট ভেঙে পড়ায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে। এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মোকোয়া শহরের প্রায় ৮০ শতাংশ রাস্তা ভেঙে পড়েছে। সম্পাদনা: প্রিয়াংকা আচার্য্য