জঙ্গিদের জীবিত ধরার চেষ্টা করি : আইজিপি
আজাদ হোসেন সুমন: সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় অবস্থানকারীদেরকে পুলিশ জীবিতই ধরতে চায় বলে জানিয়েছেন আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক। তিনি বলেন, জঙ্গিরা যখন দেখে তারা ধরা পড়ে যাবে, তখন তারা আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে।গতকাল রোববার রাজধানীতে আন্ত:দেশীয় অপরাধ বিষয়ে প্রশিক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশ প্রধান এ কথা বলেন। মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজে এই প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, ভুটান ও শ্রীলঙ্কার পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১৮ জন পুলিশ কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশের ১০ জন এবং বাকি চার দেশের দুই জন করে কর্মকর্তা রয়েছেন। ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ছাড়াও বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রথিতযশা ব্যক্তিরা এ সময় বক্তব্য রাখেন। এই প্রশিক্ষণে যোগ দেয়ার পর বাইরে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ প্রধান। এ সময় তিনি জঙ্গিবিরোধী সাম্প্রতিক অভিযান নিয়ে বেশকিছু প্রশ্নের জবাব দেন।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার ও কুমিল্লায় সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় যেসব অভিযান হয়েছে তার মধ্যে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে তিন জন, সীতাকুন্ডে দুই জন পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। এ ছাড়া কুমিল্লায় বাসে তল্লাশির সময় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় দুই জন জীবিত ধরা পড়েছেন। কিন্তু সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আতিয়া মহল, চট্টগ্রামের সীতাকু-ের ছায়ানীড় ভবন, মৌলভীবাজারের বড়হাট এবং ফতেহপুর আস্তানায় থাকা সবই নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে আতিয়া মহলে দুই জন এবং ছায়ানীড় ভবনের একজন ছাড়া বাকি সবাই আত্মঘাতী বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে। পুলিশ কেন সন্দেহভাজন জঙ্গিদেরকে পাকড়াও করতে পারে না, এ নিয়ে জঙ্গিবিরোধী অভিযানের সমালোচকরা নানা কথা বলে থাকে। তবে পুলিশের হিসাব বলছে, গত দেড় বছরে বিভিন্ন আস্তানায় যতজন নিহত হয়েছে, জীবিত ধরা পড়েছে তার দ্বিগুণেরও বেশি।
আইজিপি বলেন, জঙ্গিরা এখন আত্মঘাতী হয়ে উঠেছে। তারা সব সময় সুইসাইডাল ভেস্ট পরে থাকে। যখন তারা বুঝতে পারে পালানোর পথ নেই, তখন তারা ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটায়।
এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, জঙ্গিরা যেসব অস্ত্র গোলাবারুদ ব্যবহার করছে, তা দেশেই তৈরি, শুধুমাত্র জেলগুলো তারা বিদেশ থেকে নিয়ে আসছে। পুলিশ প্রধান বলেন, পুলিশের বিশেষ শাখা সোয়াত এবং বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের সদস্য বাড়ানোর পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। সম্পাদনা: রফিক আহমেদ