আগামী নির্বাচনে জয়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই : এনামুল হক শামীম
আল হেলাল শুভ: আগামী ২০১৯ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের জন্য দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই। এমন দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম। তিনি বলেছেন, নিজেদের মধ্যে অনৈক্যের কারণে ফলাফল কেমন হয় তা সদ্যসমাপ্ত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনই তার প্রমাণ। এত উন্নয়ন ও ক্লিন ইমেজের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার পরও আমরা নির্বাচনি ফসল ঘরে তুলতে পারিনি। কাজেই ব্যক্তিস্বার্থ বাদ দিয়ে দলের প্রয়োজনে, দেশের প্রয়োজনে ঐক্যে থাকা জরুরি। গতকাল সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এনামুল হক শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ঐক্যবদ্ধ হয়, তখন যে কোনো কঠিন কাজ সহজেই করতে পারে। ১৯৯৬ সালে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলাম বলেই প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় এসেছিলাম। ২০০১ সালে আমাদেরকে ষড়যন্ত্র করে পরাজিত করা হয়েছিল। এরপর ১/১১ সময়ে নিজেরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম বলেই নেত্রীকে কারামুক্ত করেছিলাম। ২০০৮ সালে এবং ২০১৪ সালে নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কারণেই ক্ষমতায় আসতে পেরেছি। দলের স্বার্থ বাদ দিয়ে ব্যক্তিস্বার্থ নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না। চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, প্রত্যেক নেতা-কমীকে মনে রাখতে হবে আজকে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই আমরা নিরাপদ আছি। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই দেশ আজকে উন্নয়নের মহাসড়কে। বিশ্বের বুকে মাথাউঁচু করে দাঁড়াচ্ছে। আগামীতে দলকে ক্ষমতায় আনতে হবে। এ জন্য সব বিভেদ ভুলে গিয়ে নৌকার জন্য, দলের কাজ করতে হবে।
থানা-ইউনিয়ন কমিটি ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দিয়ে এনামুল হক শামীম বলেন, নির্বাচনের আগে দলকে শক্তিশালী করতে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন রক্ত সঞ্চার করতে হবে। কোনো পকেট কমিটি যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মো. শাহজাহান আলম সাজু, কামরুল ইসলাম আনসারি, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. হানিফ মুন্সী, ভাইস চেয়ারম্যান আমির হোসেন, জেলা পরিষদ সদস্য কবির হোসেন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মজিবুর রহমান, বন্দর আওয়ামী লীগ সভাপতি শফিকুল ইসলাম। সম্পাদনা: জাফর আহমদ