মালয়েশিয়ায় জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায়, খুলনায় আটক ৩
শরীফা খাতুন শিউলী, খুলনা : ভালো বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মালয়েশিয়ায় নিয়ে জিম্মি করে মুক্তিপই আদায় চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব-৬। আটকরা হলেন- মো. আহসান হাবিব খান (৪৩), মো. রুহুল আমিন খান (৪২) ও বিকাশ এজেন্ট মো. ইমরুল ইসলাম টিটু (২৬)।
এই চক্রটি মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশের একটি সিন্ডিকেটের নানা প্রলোভনে দেশের সহজ-সরল যুবকদের নিয়ে আটক রেখে তাদের স্বজনদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা গ্রহণ করছে। এ ধরণের সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৬ খুলনার একটি দল দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় সিন্ডিকেটের এ তিন সদস্যকে আটক করেছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে র্যাব-৬ খুলনার লবণচরাস্থ সদর দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়। র্যাব-৬’র পরিচালক অতিরিক্ত ডিআইজি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম জানান, গতকাল সকাল পৌনে ৯টার দিকে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে অপহরণ ও মুক্তিপন আদায় সিন্ডিকেটের তিন সদস্যকে আটক করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, শরিয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার মুলাই বেপারীকান্দি গ্রামের আজগর সরদারের ছেলে ইমরান সরদার, একই গ্রামের ফয়জুল শিকদারের ছেলে মো. দিলু শিকদার এবং আলী মিয়া সরদারের ছেলে রাসেল সরদারসহ ৪জন একই এলাকার ব্রাক কর্মকর্তা মো. শাইজিদ খানের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় বড় অংকের বেতনে চাকরিতে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি পায়। তার ভাই নূরুল আমিন খান ও বায়জিদ খান দীর্ঘ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করায় তাদের কাছে মাধ্যমটি বিশ্বস্ত বলে মনে হয়। সে মোতাবেক প্রত্যেকে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা করে দেওয়ার পর গত ৭ ফেব্রুয়ারি তাদের মালয়েশিয়ায় নেওয়া হয়। যাওয়ার সময় বিমানে এ রকম আরো ছয়জনের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। মোট ১০জন কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে পৌঁছালে প্রেরণকারী শাইজিদ খানের ভাই ও অন্যান্যরা তাদের সঙ্গে দেখা করে গাড়িতে করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে একটি ১২তলা ভবনে আটকে রেখে তাদের ১০ জনের কাছে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। না দিলে বিভিন্ন ধরণের নির্যাতন করা হয়। এক পর্যায়ে তাদের কাছ থেকে নম্বর নিয়ে বাংলাদেশে স্বজনদের ফোন করেও মুক্তিপন দাবি করা হয়। একই সঙ্গে জিম্মিদেরও কথা বলিয়ে বিকাশ এবং ডাচবাংলা ব্যাংকের রকেট নম্বর দিয়ে ৪/৫ লাখ টাকা করে দিতে বলা হয়। ব্রিফিংয়ে আরোও জানানো হয়।সম্পাদনা : মুরাদ হাসান