চারমাস পর সিউলে ফিরছে জাপানের রাষ্ট্রদূত
ডেস্ক রিপোর্ট : টোকিওয় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে আগামী ৯ মে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আর এ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য ও দক্ষিণ কোরিয়াকে সহায়তার জন্য আমরা মঙ্গলবার রাষ্ট্রদূত ও এক কনসুলারকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিডিনিউজ
এছাড়া, উত্তর কোরিয়ার আগ্রাসন মোকাবেলা করতে উচ্চ পর্যাযের তথ্য আদান-প্রদান জরুরি হয়ে পড়ছে। সামগ্রিক বিষয় বিবেচনায় রাষ্ট্রদূত ফিরে যাচ্ছেন। চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানি সেনাদের কাছে সম্ভ্রম হারানো ‘যৌনদাসী’ নমুনা ভাস্কর্য সিউলের জাপান দূতাবাসের সামনে থেকে সরানোর পর ফের স্থাপনের প্রতিবাদে সিউল থেকে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়াসুমাসা নাগামিনসহ দুই শীর্ষ কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে টোকিওতে ফিরিয়ে নেয়া হয়। একইসঙ্গে দেশটির সঙ্গে যৌনদাসীর ক্ষতিপূরণ দেয়ার চুক্তিও স্থগিত করা হয়। গত বছর টোকিও ও সিউলের দ্বি-পাক্ষিক সিদ্ধান্তে সিউলে অবস্থিত জাপান দূতাবাস থেকে ‘যৌনাদাসীর’ মূর্তি সরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল বলে সে সময় জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন। কিন্তু সিউল গত ২৮ ডিসেম্বর ফের তা স্থাপন করে। ভাষ্কর্য না সরালে ক্ষতিপূরণ দেবে না বলে গত বছরই ঘোষণা দিয়েছিল জাপান। ‘কমফোর্ট উইমেন’ নামে পরিচিত এই যৌনদাসীদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে সিউলে ব্যপক বিক্ষোভের ঘটনাও ঘটেছিল। ১৯১০ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার পেননুলিসিয়া জাপানি সেনাদের নিয়ন্ত্রিণে ছিল। আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ওই অঞ্চলের বহু নারী জাপানি সেনাদের কাছে নির্যাতিত ও ধর্ষিত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
প্রায় এক বছর আগে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ও কোরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইং বাং যৌনদাসীদের জন্য সহায়তা চুক্তি সই করেন। ঘোষিত চুক্তি অনুযায়ী, ক্ষতিগ্রস্ত ওইসব নারীদের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার গঠিত তহবিলে ১শ’ কোটি ইয়েন (৮৩ লাখ ডলার) ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। তবে বিনিময়ে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে জাপান দূতাবাসের সামনে থাকা এক কিশোরীর ভাস্কর্য (যেটি ‘কমফোর্ট ওমেন’ এর আদলে তৈরি) অন্যত্র সরিয়ে নেবে। ১৯৯২ সাল থেকে প্রতি বছরই যৌনদাসীদের সঙ্গে কোরিয়ার সাধারন মানুষ জাপান দূতাবাসের সামনে স্থাপিত ভাস্কর্যর সামনে বিক্ষোভ করে।এর আগে ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও দক্ষিণ কোরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাই দুই দফা এই বিষয়ে আলোচনা করে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ