বাংলাদেশ স্বাস্থ্যখাতে অভাবনীয় সফলতা অর্জন করেছে : পরিকল্পনামন্ত্রী
সাইদ রিপন: বাংলাদেশ অন্যান্য খাতের সাথে সাথে স্বাস্থ্যখাতেও অভাবনীয় সফলতা অর্জন করেছে। যার ফলে দেশে শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমেছে এবং সকল বিষয়ে সরকার ইতিবাচক ভূমিকা রেখে চলেছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গতকাল রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব গার্ডা ভারবার্গের সাথে সৌজন্য
সাক্ষাতে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠক প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, গার্ডা ভারবার্গের সঙ্গে পুষ্টির সকল বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। আমাদের অর্জনে তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। শিশু ও মাতৃ মৃত্যুর হার কমেছে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা মুটিয়ে যাচ্ছে না। সকল বিষয়ে আমরা ইতিবাচক ভূমিকা রাখছি। আমরা জাতিসংঘের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, আমাদের কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও নানা বিভাগের মধ্যে সমন্বয় করে আমাদের কাজ করতে হবে। আমার বিশ্বাস, যেভাবে এমডিজির লক্ষ্য অর্জন করেছি, একইভাবে এসডিজির সকল লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম হবো।
তিনি আরও বলেন, জনসংখ্যা ও পুষ্টি কর্মসূচিতে ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকার প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা, পরিবার পরিকল্পনা, প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টিসেবা ও সচেতনতামূলক কর্মকা-ে এ প্রকল্পের টাকা ব্যয় করা হবে। এ বিষয়েও প্রশংসা করেছেন গার্ডা ভারবার্গ।
অন্যদিকে পুষ্টিসহ নানা খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব গার্ডা ভারবার্গ। তবে এ অগ্রগতিকে টেকসই করতে হলে কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ভারবার্গ বলেন, বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আশা করছি, এমডিজির মতো এসডিজির সকল সূচক সফলতার সঙ্গে অর্জন করবে। খাদ্য, পুষ্টি, স্বাস্থ্যখাতেও বাংলাদেশ ভালো করছে। তবে একটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে, সেটি হলো পুষ্টি ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সকল বিভাগের মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশের বর্তমান অর্জন সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এ অর্জনে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কারণ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সকল পদক্ষেপ বাস্তবায়নে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় গুরুত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সম্পাদনা: গিয়াস উদ্দিন আহমেদ