মৎস্য রপ্তানি করে বৈদেশিক অর্থ আয় করার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব শুভাশীষ বসু বলেছেন, দেশের বিপুল মৎস্য মম্পদ রপ্তানি করে বৈদেশিক অর্থ আয় করা সম্ভব। নন-প্যাকার ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন মৎস রপ্তানির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ ক্ষেত্রে সরকার সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। মাছ রপ্তানিতে কোন ধরনের সমস্যা থাকলে তা চিহ্যিত করে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ গতবছর ৩৪.২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। এরমধ্যে ৯২ শতাংশ রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৬টি পণ্য। রপ্তানির জন্য এ সংখ্যা ঝুকিপূর্ণ। রপ্তানির লক্ষ্যমাত্র বৃদ্ধি এবং তা ধরে রাখার জন্য রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি ও বাজার সম্প্রসারণের বিকল্প নেই। মাছ আমাদের নিজস্ব সম্পদ। শতভাগ রুলস অফ অরিজিন আমাদের, এতে ব্যবসায়ীক সুবিধা বেশি। মাছ রপ্তানি করে ব্যবসায়ীগণ এ সুবিধা নিতে পারেন।
গতকাল বাণিজ্যসচিব হোটেল ৭১-এ বাংলাদেশ নন-প্যাকার ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশন এবং বিজনেস প্রোমশন কাউন্সিল আয়োজিত ‘বাংলাদেশের মৎস্য রপ্তানির বাধা ও সুযোগ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশে^র অনেক উন্নত দেশে বাংলাদেশের পণ্যের বড় বাজার রয়েছে। এ সব বাজারে প্রবেশ করতে হবে। মাছ আমাদের ট্রেডিশনাল রপ্তানি পণ্য। কোন বাজারে কি পরিমান মাছ রপ্তানির সুযোগ রয়েছে, তা নির্ধাণ করে এগিয়ে এলে সরকার প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। এ জন্য মৎস্য সেক্টরের সকল ব্যবসায়ীকে সম্মিলিত ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। সম্পাদনা: মাসুদ মিয়া