প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইন যাত্রীবান্ধব করার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি
উম্মুল ওয়ারা সুইটি : প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইন যাত্রীবান্ধব করার দাবীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। স্বারকলিপিতে বলা হয় দেশের সড়ক পরিবহন সেক্টরের সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার যাত্রী সাধারণ। প্রস্তাবিত নতুন আইনে দেশের ১৬ কোটি যাত্রী সাধারণকে উপেক্ষা করে গণপরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ, ব্যয় বিশ্লেষন, আঞ্চলিক পরিবহন কমিটি, তথা পরিবহনের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা ও নীতি নির্ধারণের ফোরামসমূহে পুরানো আইনের আদলে মালিক-শ্রমিক, সরকার প্রতিনিধি রাখা হয়েছে দাবী করে সংগঠনটি বলছে এতে করে প্রতিদিনের গণপরিবহনের ভাড়া নৈরাজ্য, যাত্রী হয়রানী বন্ধ করা, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করাসহ সড়কে শৃংখলা ফিরিয়েআনা কোনভাবে সক্ষম হবে না।
গতকাল মঙ্গলবার সংগঠনের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত ২০ দফা দাবী জানানো হয়। এরমধ্যে রয়েছে সড়ক দূর্ঘটনায় দায়ী চালক, মালিক, যাত্রী, হেলপার, কন্ডাক্টার, সড়ক নির্মাণ প্রকৌশলী, সড়ক সুপারভিশন কর্মকর্তা, অযোগ্য যানবাহনে ফিটনেস প্রদানকারী, অযোগ্য যানবাহন নিবন্ধন প্রদানকারী, ঠিকাদার, বিলবোর্ড স্থাপনকারী, প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী বা অন্য যে কোনো ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান-এর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রাখা এবং এই সব অপরাধে অপরাধীর মামলা ৩০২ ধারায় অর্ন্তভুক্ত করা। সরকার, পরিবহন মালিক ও পরিবহন যাত্রী সাধারণের অর্থে ‘সড়ক দূর্ঘটনা ব্যবস্থাপনা তহবিল’ গঠন করা এই তহবিল থেকে সড়ক দূর্ঘটনায় হতাহতদের চিকিৎসা ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের বিষয়টি আইনে অর্ন্তভুক্ত করা।